কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম সদরের চারটি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত এসব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইট ভাটা গুলো হলো-মেসার্স এস এস ব্রিকস, মেসার্স এম জে এইচ ব্রিকস, মেসার্স জি এ ব্রিকস-১, মেসার্স জি এ ব্রিকস-২।
অভিযানের সময় কিলন স্কেভেটার ব্যবহার করে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম ধ্বংস করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এসব ইটভাটার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযানে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুজ্জামান রিশাদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা, পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।
অভিযান শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “পরিবেশ রক্ষা ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র ও প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও জানান, এসব অবৈধ ইটভাটা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এগুলো বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ, যা সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এই অভিযানে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কুড়িগ্রামে অবৈধ ইটভাটা নির্মূল এবং পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।