নওগাঁর রাণীনগরে কুজাইল হাটে সরকারি জায়গা থেকে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন, কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক মাস আগে হাটের সরকারি জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছিল। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে সোমবার এই উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি, উচ্ছেদের পর সেই স্থাপনার উপকরণগুলো বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রয় করা হবে।
রাণীনগর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল হাটে ১২ হাজার ৬ শ’ বর্গফুট জায়গায় চারতলা ভিতের উপর দোতলা পল্লী মার্কেট ভবন নির্মাণ কাজের দরপত্র আহবান করা হয়। নিচতলায় কাঁচা বাজার ও উপর তলায় ২৪টি দোকান ঘর নির্মাণ করা হবে। যার প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স সাহারা কনস্ট্রাকশন-ইএসবি নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজটি পেয়েছেন। ভবনের নির্মাণ কাজ গত বছরের ১৯ মে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩০ আগষ্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নানা জটিলতার কারণে এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণের জায়গাটি ফাঁকা করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে দ্রুতই ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। সবার সার্বিক সহযোগীতা নিয়ে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করবো।