বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আজকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। তিনি বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলাকালে গুলি করে হত্যা চিরতরে বন্ধের আহ্বান জানান।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দেননি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, যাতে জনগণের বঞ্চনা দূর হয়। তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এর জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে তার দলের নেতাকর্মীদের বাংলাদেশে উসকানি দিচ্ছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে গণবিক্ষোভের পর ক্ষমতায় আসে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী সংস্কারের পর ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। তবে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়, যাতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা কমে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধারে পুলিশ, সামরিক বাহিনী, সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। রিজভী বলেন, স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ দিতে হবে এবং সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টার পদ ছেড়ে রাজনৈতিক দল গঠন করা উচিত।