রাজিবপুর মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন, এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি।
২০০৫ সালে বিদ্যালয়টি বেসরকারি থাকা অবস্থায় পূর্ববর্তী প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমিতে ২০টি দোকান ঘর বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এগুলোর এককালীন লিজমূল্য থেকে সংগৃহীত ৪ লাখ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে আজিম উদ্দিন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে এ অর্থ উত্তোলন করেন এবং আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ।
পরে তিনি আরো ৪৮টি দোকান ঘর বরাদ্দ দিয়ে লিজ বাবদ প্রাপ্ত ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের ৩.৫ একর আয়তনের পুকুরের লিজ বাবদ প্রাপ্ত অর্থও আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে আজিম উদ্দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ. হান্নানের মতে, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি নথিভুক্ত করা হয়নি।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এডমিট কার্ড, ফরম পূরণ ও সেশন ফি বাবদ নিয়মিত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের পদবি ব্যবহার করে তিনি বিদ্যালয়টিকে নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একাধিক অনিয়ম করেছেন। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ দলীয় নেতা-কর্মীদের আড্ডার জায়গা এবং বিভিন্ন অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল।
অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আজিম উদ্দিন কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। স্থানীয়রা তার অনুপস্থিতির সুযোগে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও শিক্ষা মান উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন।