Homeজেলাডাক্তার আ: হক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

ডাক্তার আ: হক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে ডাক্তার আ: হক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত হলো জমজমাট পিঠা উৎসব। “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবীকে সাজাই”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিলনমেলায় পরিণত হওয়া এ আয়োজনে ৫০ প্রকারের বাহারি পিঠার প্রদর্শনী ও বিক্রয় অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবটি শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা মানসিকতা তৈরির পাশাপাশি গ্রামীণ ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা প্রস্তুত ও বিক্রি করেন। প্রতিটি স্টলে ৩০ থেকে ৪০ ধরনের পিঠা পরিবেশিত হয়, যা দর্শনার্থীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।

উৎসবে পরিবেশিত পিঠার মধ্যে ছিল ভাঁপা পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, ফুল পিঠা, ডিম পিঠা, সই পিঠা, কাঁটা পিঠা, রসের পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ চিতই, সর মালাইসহ নানা ঐতিহ্যবাহী পিঠা। এসব পিঠার স্বাদ নিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা স্টলগুলোতে ভিড় করেন। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়। শিক্ষার্থীরা নাচ, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন, যা পুরো আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

কলেজের প্রিন্সিপাল খাঁন আল মানুন বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তুলতে চাই, পাশাপাশি তাদের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে চাই। এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে এবং সৃজনশীল দক্ষতা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে কলেজ শাখার ইনচার্জ অধ্যাপক তাজল, সহকারী অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা আমির হোসেন ছৈয়াল, জিএম শামীম, জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা ইমাম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ২০২০ সালে তার বাবার নামে আবদুল হক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে। চলতি বছর নির্বাচনী পরীক্ষায় কলেজ থেকে ১৯০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর আগে ২০২২ সালে ৮২ জন, ২০২৩ সালে ৯১ জন এবং ২০২৪ সালে ১২৯ জন শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এই আয়োজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পিঠার স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণাও পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের উৎসব আয়োজন অব্যাহত থাকবে, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি আরও আগ্রহী হয় এবং নতুন কিছু শিখতে পারে।

সর্বশেষ খবর