টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে আহত হয়ে দীর্ঘ ৪৫ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কুড়িগ্রামের সাদপন্থী মিজানুর রহমান সুমন (৩৮)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোররাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার প্রথম জানাজা নামাজ মঙ্গলবার বাদ আসর টঙ্গী ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছিমিঞা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় তার গ্রামের বাড়ি চান্দের বাজারে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মিজানুর রহমান সুমন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শহীদ লুৎফর রহমান সরণি (থানা রোড) সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি তাবলিগ জামাতের নিজামুদ্দিন মার্কাজের অনুসারী ছিলেন। তার পিতা ছবির উদ্দিন প্রামাণিকের বড় ছেলে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার জোড় এস্তেমায় শরিক হয়ে মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও মাওলানা জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মিজানুর রহমান সুমন। প্রথমে তাকে টঙ্গী আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৮ ডিসেম্বর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে টানা ৪৫ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান।
নিহতের ভগ্নিপতি মোছাদ্দেকুল হক জানান, মিজানুর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন।
তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।