Homeজেলামাঘের ঘন কুয়াশা কাটিয়ে কুড়িগ্রামে সূর্যের হাসি

মাঘের ঘন কুয়াশা কাটিয়ে কুড়িগ্রামে সূর্যের হাসি

কুড়িগ্রাম জেলার উপর থেকে যেন দীর্ঘদিনের এক অভিমান ভেঙে রোদ্দুর ফিরে এসেছে। টানা সাত দিনের ঘন কুয়াশার পর আজ, ২৭ জানুয়ারি, সূর্যের মিষ্টি আলোয় আলোকিত হয়েছে পুরো জেলা। এই পরিবর্তনে শীতের কষ্টে জর্জরিত মানুষের জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।

উত্তরাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল বিস্তীর্ণ মাঠ, নদীর পাড়, গ্রামের পথঘাট। তীব্র শীত আর কুয়াশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবন। কিন্তু আজকের সূর্যের প্রথম আলোর সঙ্গে প্রকৃতিতে যেন এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।

গ্রামের মাঠে এখন দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কর্মচাঞ্চল্য। শীতের পোশাকে মোড়া শিশুরা দলবেঁধে স্কুলে যাচ্ছে। কর্মজীবী মানুষও স্বস্তি পেয়েছে নিজেদের কাজে। গ্রামীণ জীবন যেন ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা গতি।

কুড়িগ্রামের নওদাবাস গ্রামের কৃষক বক্তার মিয়া বলেন, “এখন ধানের চারা লাগানোর মৌসুম। তবে গত সাত দিন ধরে এমন শীত ছিল যে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আজ সূর্যের আলো পেয়ে মনে হচ্ছে, আবার কাজ শুরু করা যাবে।”

রাবাইতারী গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিনও একই কথা বলেন। তিনি জানান, “প্রতিদিন ঘন কুয়াশায় সবকিছু যেন অদৃশ্য হয়ে যেত। আজ সূর্যের আলো দেখে মনে হচ্ছে প্রকৃতিও আমাদের সঙ্গে হাসছে। চারপাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে, সবকিছু যেন নতুন করে জেগে উঠেছে।”

উপজেলার সদরের ভ্যানচালক নূরইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের তীব্র ঠান্ডায় তার আয়-রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “আজ সূর্যের আলো পেয়ে মনে হচ্ছে দিনটা ভালো কাটবে। ইনশাআল্লাহ, আজ মোটামুটি ইনকাম হবে।”

সপ্তাহব্যাপী কুয়াশার পর আজকের রোদ কুড়িগ্রামের মানুষের জন্য শুধু উষ্ণতা নয়, যেন এক নতুন আশার বার্তা নিয়ে এসেছে। কুয়াশা সরিয়ে সূর্যের এই হাসি গ্রামীণ জনজীবনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সর্বশেষ খবর