Homeজাতীয়ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি “মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ: আইআইএমএম-এর চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ” শীর্ষক একটি পাবলিক লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই লেকচারটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস (CPJ) দ্বারা আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ Mechanism for Myanmar (IIIM)-এর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান।

২০১৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ IIIM গঠন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা। কৌমজিয়ান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের অকুণ্ঠ সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সহায়তার কারণে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) জন্য মূল্যবান প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, IIIM-এর কাজ শুধু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সংক্রান্ত নয়, মিয়ানমারের অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায়ের ওপরও সংঘটিত অপরাধের বিষয়েও তারা কাজ করছে। কৌমজিয়ান “ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন” ব্যবস্থার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন, যা অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় আনার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. খালিদুর রহমান। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি আইআইএমএম-এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহরিয়ার সাদাত এবং সমাপনী বক্তব্য দেন সপিজির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনজুর হাসান ওবাই।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিনিধিরা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা, দেশী-বিদেশী এনজিও কর্মী, আইনজীবী এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর