Homeজেলালক্ষ্মীপুরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ, বিপাকে ২০ হাজার যানবাহন

লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ, বিপাকে ২০ হাজার যানবাহন

লক্ষ্মীপুরের একমাত্র সিএনজি ফিলিং স্টেশন প্রায় দেড় মাস ধরে বন্ধ থাকায় জেলার প্রায় ২০ হাজার সিএনজি চালিত যানবাহন এবং কয়েক লাখ যানবাহন চরম জ্বালানি সংকটে পড়েছে। গ্রীন লিফ গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি দুইবার বিস্ফোরণের ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ পরিবহন চালক ও মালিকরা দ্রুত স্টেশন চালুর দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দ্রুত এটি চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত বছরের ১৩ অক্টোবর এবং ১১ ডিসেম্বর স্টেশনটিতে গ্যাস নেওয়ার সময় দুটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে কয়েকজন নিহত ও আহত হন। এসব ঘটনার পর প্রশাসন স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়। তবে স্টেশন বন্ধ থাকায় চালকরা নোয়াখালী সীমান্ত থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূর থেকে গ্যাস সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। চন্দ্রগঞ্জ এলাকার বিকল্প স্টেশনে যেতে রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

একজন সিএনজি চালক জানান, ‘নোয়াখালী থেকে গ্যাস আনতে রাস্তার দুরবস্থার কারণে অনেক সময় লেগে যায়, ফলে আমাদের আয় কমে গেছে।’ অ্যাম্বুলেন্স চালকরাও একই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। স্টেশনের শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ‘সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কিস্তি পর্যন্ত দিতে পারছি না।’

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ দ্রুত স্টেশন চালুর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘স্টেশনটি চালু হলে ব্যবসায়ীদের উপকার হবে।’

গ্রীন লিফ গ্যাস ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক আল আমিন জানান, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রশাসনের অনুমতি পেলে স্টেশন চালু করা হবে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা দ্রুত স্টেশনটি চালু করতে চাই। তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্ভিসের কারিগরি মতামতের অপেক্ষায় আছি।’

এই সংকট লক্ষ্মীপুরের ২০ হাজার সিএনজি চালিত যানবাহনের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনের ওপরও বড় প্রভাব ফেলেছে। পরিবহন চালক ও মালিকরা দ্রুত সমস্যার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছেন।

সর্বশেষ খবর