পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ঢুকে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ৫ কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন হল প্রশাসন।
এর মধ্যে ছাত্রদল কর্মী ওমর ফারুককে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। শিহাব এবং ইমন হলে অবৈধভাবে থাকার কারণে তাদেরকে আগামীকাল সকাল দশটার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রদল কর্মী সৈকত এবং জাকির আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়াতে হল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ (২৪ জানুয়ারী) রাত সাড়ে আটটায় শিক্ষার্থী সামনে হল প্রভোস্ট ড. আমিরুল ইসলাম মীরু, প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান খান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক সহ উপস্থিত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সামনে এ সিদ্ধান্ত জানান।
আরও পড়ুন>>ছাত্রদল কর্মীদের দ্বারা পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে হলে ঢুকে মারধর
শিক্ষার্থীদের সামনে হল প্রভোস্ট ড. আমিরুল ইসলাম মীরু বলেন, ‘আমরা সাময়িকভাবে অভিযোগ পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামীকাল ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি করা হবে। এর মধ্যে ওমর ফারুক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়াতে ওকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে কিনা সেটা তদন্ত কমিটি দেখবেন। শিহাব অবৈধভাবে কেন হলে ছিল সেটাও তদন্ত করা হবে। ইমন গনরুমে থাকতো, তাকে আপাতত গনরুম থেকে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সৈকত এবং জাকির আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়া সত্বেও কেন হলে এসে মারামারি করলো সেটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন। এর বাইরে অজ্ঞাত নামা দুইজন শিক্ষার্থী আছে যাদের আমরা খুঁজে বের করবো।’
এর আগে আজ দুপুর তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫২৬ নাম্বার রুমে ঢুকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুরাদ হাসানকে মারধর করেন ছাত্রদল কর্মী সৈকত, শিহাব, ইমন, ওমর ফারুক, জাকির। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামের অনুসারী। এই ঘটনা জানার পরই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপরই হল প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের টিম ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেন।