মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর এই সংস্থাটি এখন ব্যয় সংকোচন এবং স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার মূলক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক অভ্যন্তরীণ মেমোতে কর্মীদের এমন কথা জানিয়েছেন। যা বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেখেছে।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় বার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএইচও’র বিরুদ্ধে করোনা মহামারিকে ভুলভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বেরিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
গত ২৩ জানুয়ারির একটি মোমেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ট্রাম্পের এই ধরনের আদেশ আমাদেরকে আর্থিকভাবে আরও সংকটময় পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এর ফলে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্রমণ ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়াও তারা বন্ধ রাখবে। এভাবেই সংস্থাটি ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র রয়টার্সের দেখা ওই মেমোর সত্যতার বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ট্রাম্পের আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ডব্লিউএইচও’র অন্যতম আর্থিক যোগানদাতা হলো যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির মোট অর্থের ১৮ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ডব্লিউএইচও’র বাজের ছিল ৬.৮ বিলিয়ন ডলার।