লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় চর কাছিয়া ও কানিবগার চরের ১,৩০০ একর খাস জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নিরীহ কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি নেতারা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত এই জমিগুলো জবরদখল করে রেখেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে লিজ নেওয়া এসব জমিতে ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। গত আমন মৌসুমে ধান চাষ করার পর তারা সয়াবিন ও ডালের মতো বিভিন্ন শস্যের চাষ করতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বাধার মুখে পড়েন।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় কৃষকরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় তারা দাবি করেন, বিএনপি নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের জমি দখল করেছেন এবং চাষাবাদে বাধা দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কৃষক গণি মিয়া বলেন, ‘বিএনপি নেতা বাদশা গাজী, মোবারক আলী, শামীম গাজী ও হারুন হাওলাদার আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। তাদের অত্যাচারে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’
আরেক কৃষক কাদের আলী জানান, ‘৫ আগস্টের পর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জমি চাষে আমাদের বাধা দিচ্ছে। আমরা খুব অসহায় অবস্থায় আছি।’
বিএনপি নেতাদের বক্তব্য অভিযোগের বিষয়ে রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তফা গাজী বলেন, ‘আমি বা আমার কোনো সহযোগী জমি দখলের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
বাদশা গাজীও একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। আমরা বরং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছি।’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত। পেশিশক্তির মাধ্যমে জমি দখল ও হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় কৃষকরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও জমি পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করায় বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে।