Homeরাজনীতিদেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য: মঈন খান

দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য: মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারগুলো শেষ করার পর যত দ্রুত সম্ভব জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রত্যাশা রয়েছে দেশের ১৮ কোটি জনগণের।’

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাদের সঙ্গে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন মঈন খান।

বিএনপিনেতা মঈন খান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। সে দায়িত্ব হলো দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া। এটি হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ১৮ কোটি মানুষের প্রদত্ত ম্যান্ডেট। আমরা সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।’

ড. মঈন খান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরে একটি স্বৈরাচারী সরকার দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করেছে, তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, অর্থনৈতিক অধিকারও বাতিল করেছে। লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। গুম, খুন, অত্যাচার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘লন্ডনে বিএনপির নেতারা আন্দোলন করার সময়, সেখানে কিছু করতে না পেরে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। যারা বিদেশে ছিলেন, তাদের দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। এক ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরে দেশের ছাত্র-জনতা উঠে দাঁড়ায় এবং ফলস্বরূপ, জুলাই-আগস্টে তাদের বুকে গুলি ছুড়ে হাজার হাজার ছাত্রকে হত্যা করে এই সরকার।’

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘পৃথিবী প্রমাণ করেছে, জনতার আন্দোলনে কোনো স্বৈরশাসন টিকে থাকতে পারে না। এটা আবারও দেশের প্রেক্ষাপটে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। সেই গণতন্ত্রের জন্যই তো ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দল একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দল কেন একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করবে? বাস্তবতা হচ্ছে, বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করে, কিন্তু তারা কখনও স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। ৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন তারা দেশের জনগণকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্রের মুখে ফেলে দিয়ে কাপুরুষের মতো সীমান্ত পার হয়ে চলে গিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা সংসদে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল।’

সর্বশেষ খবর