ইবি প্রতিনিধি
গত ১৫ জানুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় পাবলিক পরিবহন সমিতির সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ বাসের ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণসহ ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অনুষ্ঠিত এক সভায় ১৫ জানুয়ারি পাবলিক পরিবহনের সাথে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা, কুষ্টিয়া জেলা মটর মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন, ঝিনাইদহ জেলা মটর ইউনিয়নের প্রতিনিধিবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়।
সভার সিদ্ধান্তসমূহ:
১. অভিযুক্ত ড্রাইভার ও সুপারভাইজার তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান।
২. নীমতলা ও কালীগঞ্জে ঘটনার তদন্তে মালিক সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, যা ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করবে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র মোঃ সাব্বির আহমেদ অংশ নেবেন।
৩. ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ বাসের ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪. ঘটনার সাথে জড়িত গড়াই পরিবহনের ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও সহকারীদের সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তারা পুনরায় চাকরি করতে পারবেন।
৫. কোনো শিক্ষার্থী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়লে প্রথমে প্রদত্ত নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে, এবং যদি সাফল্য না পাওয়া যায়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আইন নিজ হাতে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
৬. ১৫ জানুয়ারি ঘটনার আহত শিক্ষার্থীকে ১০,০০০ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীবান্ধব পদক্ষেপ নিয়ে আসছি। শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হলে প্রক্টরিয়াল বডি এবং পরিবহন সমিতির সাথে যোগাযোগ করবেন।”
উল্লেখ্য, ১৫ জানুয়ারি গড়াই পরিবহনের হেলপার, চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদকে মারধর করেন। এর পর শিক্ষার্থীরা গড়াই ও রূপসা পরিবহনের ৬টি বাস আটকে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আলোচনার পর বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।