ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্তঃবিভাগ ও আন্তঃহল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল ম্যাচে জয়লাভ করেছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ। এতে ১-০ গোলের জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিভাগটি।
মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বনাম ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ফাইনাল খেলাটি আয়োজিত হয়। সপ্তম বারের মতো গৌরব অর্জন করে বলে জানা যায় বিভাগটি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমি এই দিনটার প্রতীক্ষা করছিলাম। কারণ আমি আসার পরে যে অনুমোদনটা দেয়া হয়। প্রথমে আমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত একা একা অফিস করেছি। আমি স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টকে বললাম যে একটা উৎসবের আয়োজন করা হোক।খেলাধুলার মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমরা একটা ফুটবল টিম গঠন করেছিলাম। সেখানে সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলাম ওই টিমের আমি। আমি জানি ফুটবলে এবং খেলাধুলায় কী আনন্দ। দর্শক হিসেবে এক আনন্দ, খেলার ভিতরে আরেক আনন্দ। খেলাধুলা হলো দেহ এবং মনের খোরাক।দেহের খোরাক হলো দেহ সুস্থ থাকে। মনের খোরাক হলো মন প্রশান্ত থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলা চলবে এবং পর্যায়ক্রমে বাস্কেটবল, ভলিবল ও ক্রিকেট আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ফুটবল খেলা ঘিরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। তবে আজকের এই খেলা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। সেজন্য আমি মাঠের বাইরে থাকা দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার ফলেই আজকের এই টুর্নামেন্টটি সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন:নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার
বিজয়ী দল ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করলাম, তখন দেখলাম ইসলামের ইতিহাস ভালো খেলে।এখানেও দেখছি তাই।
রানার্স আপ দল বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সায়েন্স ফ্যাকাল্টির মানুষ হয়ে তারা ফাইনাল অব্দি এসেছে। আমি মনে করি এই অবস্থান ধরে রাখলে আগামীতে তারা চ্যাম্পিয়নও হতে পারে। ইনশাআল্লাহ তারা চ্যাম্পিয়ন হবে। আর বায়োটেক তো একটু কঠিন সাবজেক্ট, অনেক ল্যাব করতে হয়। এই জন্যই তারা একটু পিছিয়ে থাকাটা স্বাভাবিক।