বগুড়ার গাবতলীতে ছয়জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় যুবদল নেতা হৃদয় হোসেন গোলজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে গাবতলী থানায় উপজেলা চামুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান মামলাটি করেন। মামলায় হৃদয় হোসেন গোলজার, যিনি নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, তাকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও গাবতলীর চাকলা গ্রামের বেলুজ মণ্ডল, তাঁর ছেলে শুভ, ও যুবদল নেতার সহযোগী আনিছার এবং রেজাকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাকলা গ্রামের বেলুজ মণ্ডলকে ভিয়েতনামে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে চামুরপাড়া গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুল হান্নান ভ্রমণ ভিসায় পাঠান। কিন্তু সেখানে চাকরি না পেয়ে বেলুজ দেশে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে হান্নান বিষয়টি এড়িয়ে যান। এর পর গত শনিবার সকালে হান্নান নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নে আসলে বেলুজের লোকজন তাঁকে আটকে রাখেন এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন যুবদল নেতা হৃদয় এবং তাঁর সহযোগীরা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হৃদয় ও তার সঙ্গীরা ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করেন।
গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে, তবে হান্নানের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।