Homeজেলাজিয়াউর রহমানকে নিয়ে পাবিপ্রবির মসজিদে আলোচনা সভা

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পাবিপ্রবির মসজিদে আলোচনা সভা

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে আলোচনা সভা করা হয়েছে। এ নিয়ে মসজিদে উপস্থিত মুসুল্লিরা সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন মসজিদের মত পবিত্র জায়গাতে আলোচনা সভা করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করা হয়।

আজ সোমবার (১৯ জানুয়ারি) জোহরের নামাজের পর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কাননের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়।

মসজিদে উপস্থিত মুসুল্লিরা জানান, নামাজের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু নামাজ শেষ করার পর সংস্থাপন শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুল মজিদ পরশ ইমামের কাছ থেকে মাইক নিয়ে জানান, দোয়ার আগে কিছুক্ষণ আলোচনা সভা হবে। এরপর হুজুর দোয়া করবেন।

এরপর তিনি বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক একরামুল হক লিমন এবং সদস্য সচিব সানজিদ প্রান্তকে খোঁজেন। তাদেরকে না পেয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ হোসেনকে বক্তব্য রাখার জন্য বলেন। মুজাহিদ হোসেন জিয়াউর রহমানের জীবনী নিয়ে দুই মিনিট বক্তব্য দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক গোলজার হোসেন বক্তব্য রাখেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. রাশেদুল হক এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। এরপর অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন বক্তব্য রাখেন। আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমী দোয়া পরিচালনা করেন।


আরও পড়ুন:গাজীপুরে শ্রমিক অধিকার পরিষদের প্রতিবাদ সভা।


মসজিদে রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে উপস্থিত মুসুল্লিদের অনেকেই সমালোচনা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নামাজের আগে সবাইকে বলা হয়েছে নামাজ শেষে দোয়া করা হবে। কিন্তু নামাজ শেষে সবাইকে আমাদের ত্রিশ মিনিটের মত রাজনৈতিক আলোচনা শুনতে হয়েছে। মসজিদ পবিত্র জায়গা সেখানে রাজনৈতিক আলোচনা আমরা কখনো আশা করিনা। আওয়ামীলীগের সময়েও আমরা এমন শুনেছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, উনার পরিবারকে নিয়ে মসজিদে রাজনৈতিক আলোচনা করে দোয়া করা হতো। আমরা ভেবেছি ৫ আগস্টের পর দেশে পরিবর্তন আসবে কিন্তু সেই পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছিনা।’

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে একটা রাজনৈতিক দলের নেতাকে নিয়ে আলোচনা সভা হচ্ছে অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ। যদি আলোচনা সভা আর দোয়া অনুষ্ঠানই যদি করতে হয় তাহলে মসজিদের বাইরে করুক। সেটা করলেই মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হতোনা।’

সর্বশেষ খবর