পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসনকে ৩দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবণের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন। তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ বিভিন্ন সময়ে ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও তার বিচার পায়নি নির্যাতনের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৩দিনের আল্টিমেটাম দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ: ১. নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ২. আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি (অবস্থান ও অনশন) ঘোষণা করা হবে। ৩. হলের অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আজকের মধ্যেই মামলা দায়ের করতে হবে। ৪. চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের শিক্ষাজীবনের সকল অপকর্মের জন্য সনদপত্র বাতিল করতে হবে। ৫. ‘২৪ আন্দোলনসহ পূর্বের সকল নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৬. তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। ৭. হলে ও ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির মনিটরিং জোরদার করতে হবে এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে। ৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সেলের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে এবং চুরি-ডাকাতি বন্ধ করতে হবে। ৯. নির্যাতিত ও আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১০। অতিদ্রুত আবাসিক হল খুলে দিতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই।”
আরও পড়ুন:রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার-১
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার আলমের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ইরফান বিন হাবিব, বাংলা বিভাগের মো. মইন উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের মো. মোরসালিন, অর্থনীতি বিভাগের আবু শামা।