পাঠ্যপুস্তক ও সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন দেশ ও প্রবাসের ১৪৪ জন নাগরিক। একই সাথে তারা আদিবাসীদেরর উপর হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। শনিবার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঠকদের জন্য বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু তুলে ধরা হলো
আমরা, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাবলীতে উদ্বিগ্ন নিম্নস্বাক্ষরকারী নাগরিকরা, একটি উগ্র জাতিবাদী ভুঁইফোঁড় সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী” শব্দসম্বলিত গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলা, বিক্ষোভরত আদিবাসী ছেলেমেয়ের ওপরে সংগঠনটির সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক আক্রমণ, এবং এর প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশ বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর ভর করে জেঁকে বসা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ ছিল পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের। ফ্যাসিবাদী শাসকের পতন ঘটেছে কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার এখনো অবসান ঘটেনি। অভ্যুত্থানের পরে উগ্র জাতিবাদী ফ্যাসিবাদী শক্তিকে নব উদ্যমে পাহাড়ে আগ্রাসন চালাতে দেখা যাচ্ছে। গতবছর ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় সেটেলার বাঙালির আক্রমণে ও সেনাবাহিনীর গুলিতে ৪ জন আদিবাসী মর্মান্তিক হত্যার শিকার হন, আদিবাসীদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। গত ২৪-২৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার ত্রিপুরা পাড়ার আদিবাসীরা পাশের পাড়ায় বড়দিনের উৎসবে গেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় পাড়ার ১৭টি ঘর। রাষ্ট্রীয় মদদে আমাদের দেশের আদিবাসীদের ওপরে তীব্র আক্রমণ-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ঢাকায় আমরা ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামে একটি ভুঁইফোঁড় উগ্র জাতিবাদী সংগঠনের আবির্ভাব দেখতে পারছি, যারা নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ এবং রচনা পাঠ্যপুস্তকের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দসম্বলিত গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলার দাবি জানায়, এবং প্রায় সাথে সাথেই এনসিটিবি সেই গ্রাফিতিটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। একইসাথে এনসিটিবি চেয়ারম্যান গণমাধ্যমে জানান, “… এছাড়া বইয়ের কোথাও আদিবাসী শব্দ নেই।” বাস্তবিকই ২০২৫ শিক্ষাবছরের পাঠ্যপুস্তকের কোথাও “আদিবাসী” শব্দ নেই, সেখানে রয়েছে “নৃ-গোষ্ঠী”, “ভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী”, “বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠী” কিংবা “অনান্য নৃ-গোষ্ঠী”, যা আগের শিক্ষাবছরে ছিল “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী”। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ভয়ানকভাবেই আদিবাসীদের অপরায়ন ও বিমানবিকীকরণ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তৃতীয় শ্রেনির শিশুদের পাঠ্য “বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়” বইয়ে রয়েছে, “আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশের মানুষ বাংলায় কথা বলে …। এছাড়াও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষাও রয়েছে।” পাঠ্যপুস্তকের এই অপরায়ন ও বৈষম্যের মূলে রয়েছে ১৯৭২ সালে প্রণীত ও ১৭ বার সংশোধিত জাতিবাদী সংবিধান, যেখানে আদিবাসীদের জাতিসত্ত্বার কোন স্বীকৃতি নেই, যেখানে আদিবাসীদের পরিচিত করা হয়েছে “উপজাতি”, “ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী, সম্প্রদায়” হিসেবে। স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামক উগ্র জাতিবাদী সংগঠনটি ফ্যাসিবাদী এই সংবিধানকেই ঢাল বানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের শ্লোগান “তুমি কে, আমি কে, বাঙালি বাঙালি” বলেই তারা আদিবাসীদের ওপরে আক্রমণ চালিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী সমাজ গঠন, তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই চালানো হচ্ছে এই আক্রমণ। এই আক্রমণ কেবল উগ্র জাতিবাদী-ফ্যাসিবাদী সংগঠনটির এবং পতিত ও নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক শক্তির নয়, বরং প্রবলভাবে রাষ্ট্রশক্তিও এই আক্রমণে শরিক। তারই প্রমাণ মেলে ১৫ জানুয়ারিতে আদিবাসীদের ওপরে হামলার সময় পুলিশ বাহিনীর নির্লিপ্ত দর্শকের ভূমিকায় এবং ১৬ জানুয়ারিতে এর প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা’র শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে পুলিশ বাহিনীর বেধড়ক লাঠিচার্জ, জলকামান, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, “উপজাতি” বা “ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী”র মত অবমাননাকর শব্দ সংবিধান ও পাঠ্যপুস্তক থেকে সরানোই যথেষ্ট নয়। “আদিবাসী” শব্দটি কেবল “ভিন্ন” বা “অন্যান্য” নৃগোষ্ঠী দিয়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য শব্দ নয়। আদিবাসী (indigenous) শব্দের অর্থ কোন জাতি কত আগে থেকে একটা দেশে বাস করছে তা নয়, বরং কোনো একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে (যেমন পার্বত্য অঞ্চলে, কিংবা সমতলের বিভিন্ন বন-জঙ্গল, চর বা দ্বীপাঞ্চলে) যারা প্রাক-ঔপনিবেশিক আমল থেকে যুগ যুগ ধরে কেবল বাসই করছে না, সে অঞ্চলের প্রকৃতির সাথে শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ, যাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে, যাদের স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক, সামাজিক, এমনকি রাজনৈতিক ব্যবস্থাও টিকে আছে ও যারা নিজেদের এই স্বাতন্ত্র্য টিকিয়ে রাখতে চায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ আধিপত্যকারী জাতিগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন যেকোনো জনগোষ্ঠী যারা নিজেদেরকে “আদিবাসী” হিসেবে পরিচত করতে চায়, তারাই “আদিবাসী”। “আদিবাসী”র এই সংজ্ঞানুসারে বাংলাদেশের আধিপত্যকারী বা প্রধান (dominant) বাঙালি জাতিকে “আদিবাসী” বলার কোন উপায় বা কারণ নেই। আমাদের আদিবাসী জাতিসমূহকে “আদিবাসী” হিসেবে স্বীকৃতি দিলে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোন আশংকাও নেই। কেননা, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যেই আদিবাসীরা নিজস্ব ভূমি তথা তাদের নিজস্ব জীবন, সম্পদ ও সংস্কৃতি রক্ষার অধিকার চাইছেন। এটি তাদের অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত। ফলে, আদিবাসীদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ও তাদের অধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আধিপত্যবাদী ও জাতিবাদী রাজনীতি বাংলাদেশের জন্যে আত্মবিধ্বংসী, যা দেশের বহুবর্ণিল ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে অস্বীকার করার মাধ্যমে শক্তিলাভ করে। সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছবি, গ্রাফিতি, প্রতিবাদী ভাষ্য ইত্যাদি থেকে “আদিবাসী” শব্দটিকে মুছে দেওয়া সেই রাজনীতির অংশমাত্র। এই রাজনীতি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকেই মানতে চায় না, এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে একটি একক জাতি, একক জনগোষ্ঠী এবং একক সংস্কৃতির মালিকানায় রাখার আগ্রাসী আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। এই রাজনীতিই বস্তুত ফ্যাসিবাদ তৈরি করে, আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মাঝে ফ্যাসিবাদকে জিইয়ে রাখে। আমরা মনে করি, এহেন জাতিবাদী-ফ্যাসিবাদী রাজনীতির কবর রচনা করেই কেবলমাত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক একটি বহুত্ববাদী সমাজ গঠন করা সম্ভব।
আমরা এই বিবৃতির মাধ্যমে নিম্নলিখিত দাবিসমূহ উত্থাপন করছিঃ
১। পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী” শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাদ দেয়ার প্রতিবাদে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে আদিবাসীদের সমাবেশের ওপরে ন্যক্কারজনক হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার মিছিলের ওপরে হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও নির্দেশপ্রদানকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২। পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী” শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং এনসিটিবি’র নতজানু চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসীদের অপরায়ন ও বিমানবিকীকরণের যাবতীয় প্রকাশভঙ্গি দূর করতে হবে এবং আদিবাসীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। আদিবাসীদের যথাযথ সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। সংবিধানে নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী পরিচয় থাকলেই চলবে না, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সকল জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানে “উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়” এর বদলে “আদিবাসী” পরিচয় প্রদান করতে হবে এবং সকল ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও শিল্পকলাসমূহের পরিপোষণ ও উন্নয়নের পাশাপাশি আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশের অঙ্গীকার সম্বলিত বিধান রাখতে হবে।
৪। জাতিসংঘের “ডিক্লারেশন অন দ্য রাইটস অফ ইন্ডিজেনাস পিপলস” (২০০৭) সনদে পরিপূর্ণভাবে অনুস্বাক্ষর করতে হবে। আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৫। পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী ও অলিখিত সেনাশাসন অপসারণ করতে হবে।
স্বাক্ষরকারীরা হলেন
রাহাত মুস্তাফিজ, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; অনুপম সৈকত শান্ত, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; নাদিয়া ইসলাম, লেখক ও গবেষক; কৌশিক আহমেদ, সদস্য, জনভাষ্য; পূরবী তালুকদার, অ্যাক্টিভিস্ট; তাইনুর রহমান, মার্কেটিং অফিসার, স্কয়ার ফার্মাসিটিকেলস; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকার কর্মী; আরিফ রহমান, লেখক ও সাংবাদিক; জামাল আবেদীন ভাস্কর, ব্যবসায়ী ; মীর হুযাইফা আল মামদূহ, গবেষক; দিলশানা পারুল, রাজনৈতিক কর্মী ও উন্নয়ন পেশাজীবী; অরিত্র অরিন্দম, শিক্ষার্থী; রফিক আমিন, কবি; অমল আকাশ, শিল্পী সাংস্কৃতিক সংগঠক; তারান্নুম নিবিড়, গবেষক ও শিল্পী; তন্ময় কর্মকার, প্রকৌশলী; মোস্তফা ফারুক, প্রাক্তন ছাত্র নেতা; সৈয়দ বাবুল, অবসরপ্রাপ্ত; ঊর্মি চাকমা, বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক; আরিফুজ্জামান জয়, শিক্ষার্থী; মনিরা রহমান, মানসিক স্বাস্থ্য আন্দোলন কর্মী; সীমা আক্তার, শিক্ষার্থী; মোঃ শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক; মাসউদ ইমরান মান্নু, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; বীথি ঘোষ, সাংস্কৃতিক সংগঠক; খান এ এম শওকত রাজা, ব্যাংকার; মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, মাভাবিপ্রবি ও পিএইচডি; স্টুডেন্ট, কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা।; জাহাঙ্গীর আলম, বেসরকারি চাকুরীজীবি; মিম আরাফাত মানব, প্রভাষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়; উঃ মং সিং, গবেষক; প্রণব আচার্য্য, সাংবাদিক; মো: মাজহারুল হক, স্থপতি; নুরুজ্জামান মানিক, লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক; শাহাদাত স্বাধীন, পিএচডি শিক্ষার্থী; শোয়াইব আহম্মেদ, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,; নাজনীন সুলতানা, স্থপতি; আবদুল ওয়াদুদ, প্রবাসী; সাকি ফারজানা, স্বাস্থ্য সেবা কর্মী; মোঃ মিসবাহুর রহমান, ব্যবসায়ী; হৃদয় শুভ, সাংবাদিক; মতিউর রহমান, চাকরিজীবি; জয়রাজ চক্রবর্ত্তী, শিক্ষাথী; সুপ্রীতি ধর, মানবাধিকার কর্মী; নিয়াজ মোর্শেদ অমি, শিক্ষাথী; ইনজেব আঙু, চাকরিজীবি; তমসো দীপ, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক; রুছেলী খান ঝুম্পা, চাকরিজীবি; স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী, আইনজীবী; সঞ্জয় কান্ত দাস, সমন্বয়ক, বাসদ (মার্কসবাদী), সিলেট জেলা; কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অজিত দাস, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন; কাজী শুসমিন আফসানা, শিক্ষক; মো. শাহরিয়ার শফিক, প্রভাষক, শিক্ষা বিভাগ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; মো: আল আমিন হোসেন, উন্নয়ন কর্মী; আহসান হাবিব সাকিব, শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; কাজী তাফসিন, শিক্ষার্থী; সাইফ রাসেল, ভিডিও এডিটর; জাকারিয়া হুসাইন, ব্যবসায়ী; তনুশ্রী পাল, চাকুরী; সায়রাত সালেকিন, লেখক ও গবেষক; সানজিদা আকতার, চাকুরী; আহমেদুর চৌধুরী, সম্পাদক ও প্রকাশক; তানভীর মুরাদ তপু, আলোকচিত্রী ও শিক্ষক; ইমতিয়াজ আরেফিন সৌরভ, শিক্ষার্থী; জয়দীপ ভট্টাচার্য, চিকিৎসক, কেন্দ্রীয় সদস্য, ডক্টর্স প্লাটফর্ম ফর পিপলস্ হেলথ; মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উন্নয়ন কর্মী; সারাহ্ নাফিসা সাহিদ, লেখক ও সংঘটক; মাসুদুল হাসান রনি, ছড়াকার ও গণমাধ্যমকর্মী; ফাহমিদুল হক, লেখক ও গবেষক; রাসেল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক, ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি; সায়েমা খাতুন, নৃবিজ্ঞান গবেষক; নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী; মোঃ রিয়াজুল হক রানা, চাকরি প্রত্যাশী; নওসীন হাসান, শিক্ষার্থী; শাহরিয়ার বিন আলী, আইনজীবী; মো: ওমর ফারুক, ব্যবসায়ী; রাফসান আহমেদ, চলচ্চিত্র কর্মী; মালবিকা দিপান্বিতা রায়, স্থপতি ও উদ্যোক্তা; ইশরাত জাহান ঊর্মি, সাংবাদিক; মোশফেক আরা শিমুল, নির্বাহি পরিচালক, স্পেস ফাউন্ডেশন; কামরুজ্জামান রিপন, উন্নয়ন কর্মী; তাহমিদ হাসান খান, চাকরিজীবি; নাসরিন সিরাজ, নৃবিজ্ঞানী; মনিকা ডমিনিকা সিনহা, শিক্ষার্থী; মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট; সৈয়দ নাফিস কামাল, প্রকাশনা কর্মকর্তা, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স; ফারিহা তাসনিম, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; নূরুননবী শান্ত, কথাসাহিত্যিক, ফোকলোর তাত্ত্বিক; সুলতানা পারু, সহকারী অধ্যাপক, নারায়ণগঞ্জ কলেজ; কিকি মারমা, শিক্ষিকা; এস এম মশিউর রহমান, ব্যবসায়ী; লায়েকা বশীর, শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক; মো মশফিকুর রহমান, অনলাইনে প্রোফেশনাল; রিয়া সাহা, শিক্ষার্থী; সামিয়া রহমান প্রিমা, সাংবাদিক; ইসাবা শুহরাত, সংগঠক, শেকল ভাঙার পদযাত্রা; উম্মে ফারহানা, শিক্ষক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; পাভেল পার্থ, লেখক ও গবেষক; জাহানারা পারভীন, ক্লিনিক কেস কোঅর্ডিনেটর; অয়ন সরকার, নিজস্ব ব্যবসা; তালহা জুবায়ের, শিক্ষার্থী; ম্রাসা মারমা, শিক্ষার্থী; জাফরিন জাহান জেরিন, শিক্ষাথীী, অ্যাক্টিভিস্ট; মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রেজ্জাকুল চৌধুরী, চাকরিজীবি; প্লাবন কুমার, চাকরিজীবি; আব্দুল্লাহ আল নোমান, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; আনু মুহাম্মদ, সম্পাদক, সর্বজনকথা; ভুপেন চাকমা, শিক্ষার্থী; সুরাইয়া, ডেন্টাল সার্জন; তেনজিং চাকমা, শিক্ষার্থী; আনমনা প্রিয়দর্শিনী, শিক্ষকতা; আজফার হোসেন, অধ্যাপক, ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ, গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটি, মিশিগান; রাশেদুল ইসলাম রাপ্পি, ভিডিও এডিটর; সামিয়া আক্তার বাঁধন, শিক্ষাথী; শাদমান সাকিব, ব্যবসায়ী; রথীন্দ্র নাথ বাপ্পি, সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ শিক্ষাথী ইউনিয়ন; নাদিরা ইয়াসমিন, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, নরসিংদী সরকারি কলেজ; আতিয়া ফেরদৌসী, সিনিয়র বাজেট এ্যনালিস্ট, নরফোক, ভার্জিনিয়া, ইউএস; মুয়াজ খলিল, ব্যবসায়ী; দীপ্তি দত্ত, শিক্ষক; অরূপ দাস, আইনজীবী; মমিন আফ্রাদ, কবি ও কর আইনজীবী; মতিউর রহমান, ব্যবসায়ী; তির্সা হিয়া হালদার, উন্নয়ন কর্মী; অতনু মুখার্জী, শিক্ষাথী; সোহেল কবির অভি, প্রকৌশলী; অলিউর সান, প্রভাষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; লিপি চাকমা, শিক্ষার্থী; মোকাম্মেল জয়, শিক্ষার্থী; রাজেশ্বর দাশ গুপ্ত, চলচ্চিত্র কর্মী; সায়ক চাকমা, আইনজীবী ও অ্যাক্টিভিস্ট; ড. আখতার সোবহান মাসরুর, নব্বইয়ের শিক্ষাথীনেতা; সৌম্যদীপ হালদার, শিক্ষাথী; আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির, সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; হাসান তৌফিক ইমাম, সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; বর্ণালী সাহা, কথাসাহিত্যিক; সৈয়দ বাবুল, অ্যাক্টিভিস্ট,পেশা জীবনে অবসরপ্রাপ্ত; তানবীরা হোসেন, হিসাবরক্ষক; রেজ্জাকুল চৌধুরী, চাকরি; শফি সারোয়ার, প্রকৌশলী; শেখ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, ব্যবসায়ী; জোতি চাকমে, প্রকৌশলী; রিপা সরদার, শিক্ষক; দেবাশিস চক্রবর্তী, শিল্পী ও লেখক; ফাহাদ চৌধুরী, সাংবাদিক; জাজং নকরেক, আলোকচিত্রী; শামীম পাটোয়ারী, কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক; ফারুক রহমান, সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মী; মাহমুদুল সুমন , অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; খাদিজাতুল কোবরা, সাংবাদিক; শাশ্বতী মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; মো: অমিত হাসান ইথার, সংগীতশিল্পী এবং প্রকৌশলী; তামিম আলী শাহ, শিক্ষার্থী; প্রান্জল খীসা, প্রকৌশলী।