ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বায়োটেক এসোসিয়েশন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের শেষদিন উৎসবমুখরভাবে পালিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯ টা থেকে বটতলাতে দ্বিতীয় দিন তথা শেষ দিনের মতো শুরু হয় এ আয়োজন। বিভাগে চলমান প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি করে স্টল বরাদ্দ রয়েছে। সর্বমোট ছয়টি স্টল নিয়ে আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে সকাল থেকেই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। পিঠাপুলির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্নও স্থান পেয়েছে স্টলগুলোয়।
এসময় সেলিম খান নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। যা শীতের আমেজ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে।পিঠা উৎসব আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একধরণের ঐতিহ্যের পর্যায়ে পড়ে। আজকের এই পিঠা উৎসব আমাদের সেই ঐতিহ্যকেই ধারণ করে।’
আরও পড়ুন:পাংশায় ৩৭০ টি গাঁজার গাছসহ একজন গাঁজাচাষী গ্রেফতার
নাইমুল ফারাবী নামক এক শিক্ষার্থীর কাছে তার অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নান্দনিকতা চর্চার একটা ক্ষেত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করার বিভিন্ন ধরণের মাধ্যম খুঁজে পাই। সাধারণত আমরা বিজ্ঞানের ছাত্ররা বিজ্ঞানচর্চার দিকেই সবচেয়ে বেশি মনোনিবেশ করে থাকি। তারপরও বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা থেকে আমাদের হারিয়ে যাওয়া উচিত না। বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের নিজের মনে লালন করা উচিত। সেই লালনের মাধ্যম যদি হয় পিঠা উৎসব, তাহলে মন্দ হয় না। এজন্য আমি বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এরকম নান্দনিক আয়োজনের জন্য তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমি আশা করবো বায়োটেককে দেখে সংস্কৃতির সাথে যায় এমন বিভাগগুলো যেমন কলা অনুষদের বিভাগগুলো আমাদের আরোও সুন্দর সুন্দর আয়োজন উপহার দিবে।আমি এটাও আশাকরি যে আমরা সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান চর্চা সমানতালে চালিয়ে যাবো এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাবো।’
উল্লেখ্য, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ইবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন বায়োটেক এসোসিয়েশন কর্তৃক দুইদিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।