লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. কায়সার হামিদ জানান।
সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয়ের তালা খোলা হয়নি বলে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, “ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের ইন্ধনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাবেদ ও টিপু কার্যালয় থেকে আমাকে বের করে দেয়। আর কখনো কার্যালয়ে না আসতে হুমকি দিয়েছেন তারা। বের না হতে চাইলে তারা আমার দিকে তেড়ে আসেন।
কেন বের করে দিয়েছে- জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “তারা বিএনপি, এজন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অন্য কোনো কারণ তারা বলেনি। পরে তারা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।”
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর প্যানেল চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুল হান্নান। সেটি হতে না পেরে ক্ষোভে তিনি, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাবেদ হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন টিপুর নেতৃত্বে ৮-১০ জন গিয়ে চেয়ারম্যানকে কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তালা মেরে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্রনেতা মামুন
তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, “নানা অনিয়ম (প্রকল্প আত্মসাৎ ও হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে দুর্নীতি) করেছেন চেয়ারম্যান। প্রতিবাদ করায় আমার মাকে নিয়ে গালমন্দ করেন তিনি। এজন্য তাকে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি।”
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাবেদ হোসেন বলেন, “আমি স্থানীয় একটি মেলায় ছিলাম। জনগণ চেয়ারম্যানকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি পরে সেখানে গিয়েছি।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. কায়সার হামিদ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা জানা যায়নি। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আমরা খোঁজ-খবর নেব।”