Homeজেলামনপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি

মনপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের’ পক্ষে জনমত তৈরির জন্য নিজেদের ‘ঘোষণাপত্র সপ্তাহের’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মনপুরার হাজীরহাট বাজারে বিকেল চারটা থেকে লিফলেট বিতরণ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নেতা-কর্মীরা। এই লিফলেটে তাঁরা সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেল চারটার পর ভোলার মনপুরায় উপজেলা ভবন এর সামনে থেকে থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নেতা-কর্মীরা। সেখানে মনপুরা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর মো: নুরনবী সহ বেশ কয়েকজন ছিলেন। তাঁরা হাজীরহাট বাজারের অলিতে গলিতে লিফলেট বিতরণ করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর পক্ষ থেকে যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে, সেই লিফলেটের ওপরে লেখা রয়েছে ‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা!’ লিফলেটের শেষে লেখা রয়েছে ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতিকে শক্তিশালী করুন’।

ঘোষণাপত্রে সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা; ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা; অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা; ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রাখা এবং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দেওয়া।

লিফলেটে বলা হয়, ‘ইতিমধ্যে আমরা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে ঘোষণাপত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় বেঁধে দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করার জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি। ঘোষণাপত্রে এই জনগোষ্ঠীর বিগত দুই শত বছরের লড়াই-সংগ্রামের স্বীকৃতি থাকতে হবে। বিগত ১৬ বছরের জুলুম-নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করাসহ অর্থ পাচারের খতিয়ান থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ কীভাবে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী জিঞ্জির ছিন্ন করেছে, ঘোষণাপত্রে তার উল্লেখ থাকতে হবে। আমরা অধিকার, ইনসাফ ও মর্যাদাভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র চাই। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের একদলীয় শাসন ও এক-এগারোর বিরাজ নৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে গঠন করার সংকল্প ব্যক্ত করবে এই ঘোষণাপত্র।

এতে আরও বলা হয়, ‘এ ঘোষণাপত্রই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল। জনগণের বিপুল সাড়া ও চাপের মুখে সরকার নিজে এ ঘোষণাপত্র জারির ব্যাপারে সম্মতি দিতে বাধ্য হয়। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘোষণাপত্র জারির দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখতে চাই। ইতিমধ্যে আমরা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে ঘোষণাপত্র জনগণের সামনে তুলে ধরার সময় বেঁধে দিয়েছি। আমরা ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করার জন্য জোরালো দাবি জানাচ্ছি।’ ঘোষণাপত্রে এই জনগোষ্ঠীর বিগত দুই শ বছরের লড়াই-সংগ্রামের স্বীকৃতি থাকতে হবে। বিগত ১৬ বছরের জুলুম-নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করাসহ অর্থ পাচারের খতিয়ান থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর