Homeঅভিযোগরাণীনগরে চাঁদার দাবিতে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

রাণীনগরে চাঁদার দাবিতে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

চাঁদা না দেয়ায় নওগাঁর রাণীনগরে বিদেশ ফেরত আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের একজনকে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। দাবিকৃত চাঁদার টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা দেওয়ার পর আলমগীরকে ফেরত দেয়া হয় পরিবারের নিকট।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলার করজগ্রাম-মাধাইমুড়ি শ্বশানঘাটে এ ঘটনা ঘটে। মারধর ও নির্যাতনের শিকার আলমগীর হোসেন গুরুত্বর আহত অবস্থায় বর্তমানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহত আলমগীর উপজেলার চকারপুকুর বিষঘরিয়া গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলমগীরের বাবা মোজাহার বাদি হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় যুবদল নেতা ইমরান সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রাণীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

নির্যাতনের শিকার আলমগীর হোসেন জানান, দুই মাস হবে আমি বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেছি। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত না। তারপরও তারা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চকারপুকুর গ্রামের ইমরান, কয়াপাড়ার বাদশা, কসবার ডলার ও নিলাম্বরপুরের গ্রামের শাহজাহান সহ প্রায় ২০-৩০ জন মোটরসাইকেলযোগে আমার বাড়িতে এসে অফিসে কথা হবে বলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তারা আমাকে আবাদপুকুর বাজারে একটি স্কুলের পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে মারধর শুরু করে। ওখানে লোকজন জড়ো হতে থাকলে হরিপুর পৈদীঘি নামক শ্বশানঘাটে নিয়ে যায়। এরপর করজগ্রাম-মাধাইমুড়ি গ্রামের শ্বশানঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। তারা আমাকে গোপন স্থান সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। বাধ্য হয়ে বাড়িতে জানালে বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে আসলে আমি রক্ষা পাই। এরমধ্যে তারা আমার কাছ থেকে সাদা চারটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছে।


আরও পড়ুন:বগুড়ায় পানি খাওয়ার অজুহাতে গৃহবধূকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ


ভুক্তভোগীর বাবা মোজাহার আলী বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করবে, এটা কেমন কথা। তাও আবার নির্জন এলাকা শ্বশানঘাটে। চাঁদার দুই লাখ টাকা না দিলে, তারা হয়তো আমার ছেলেকে মেরেই ফেলতো। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে রাণীনগর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে একডালা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ইমরান বলেন, আমি কিছুই জানিনা। তারা যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শত্রুতার জেরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একজন আরেকজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর