Homeজাতীয়প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান না চালানো সরকারের ব্যর্থতা : মাহমুদুর রহমান

প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান না চালানো সরকারের ব্যর্থতা : মাহমুদুর রহমান

প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান না চালানো সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‌‘বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর কেউ যেন জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে এই বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আজ শনিবার ময়মনসিংহ নগরের টাউনহলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ এবং জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাঙ্ক্ষা ও সম্ভাবনা শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে আস-সিরাজ নামে একটি সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ভারতের একটি ঔপনিবেশে পরিণত হয়েছিল। বাংলাদেশকে আবার ভারতের ঔপনিবেশে পরিণত হতে দিতে পারি না। আমাদের এই ঐক্যে যারা ফাটল ধরাতে চাইবে তাদেরকেই প্রতিহত করতে হবে সে যেই হোক না কেন।’

তিনি আরও বলেন,‘ এই সরকার একটা বিপ্লবের পর এসেছিল। কিন্তু এই সরকার বুঝতে পারেনি, তারা একটি বিপ্লবের প্রোডাক্ট। যে কোনো বিপ্লবের পরে পৃথিবীর সব দেশে একটা শুদ্ধি অভিযান চলে।’

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল হঠাৎ করে সরকার সব কিছুর ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছে। ওষুধের ওপরও ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছে। রেস্টুরেন্টরে ওপর পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট করা হয়েছে। সব রেস্টুরেন্ট তো আর বড়লোকের রেস্টুরেন্ট না। গরিব মানুষও তো রেস্টুরেন্টে খায়। সব রেস্টুরেন্টে ভ্যাট বাড়ানো মানে গরিব মানুষের খাবারেরও দাম বাড়িয়ে দিল। পোশাকের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াল। কাপড় কিনতে গেলে, ওষুধ কিনতে গেলে মূল্য বৃদ্ধি হবে। এই যে সিদ্ধান্ত সরকার নিল এর মধ্যেই প্রমাণিত হয়, এই সরকার বিপ্লবের চেতনাকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি। যদি বিপ্লবের চেতনা পুরোপুরি ধারণ করত তাহলে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব অংশীজনের সঙ্গে তারা আলোচনা করত। ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাড়াত।’

আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ মাহাদী, ড. আতিক মুজাহিদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ। এরপর শহীদ ১৫ জন পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে জাগরণী সংগীত অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর