কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগ সংস্কারের জন্য ৯ দফা দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্ররা তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে নানা ধরণের স্লোগান দিতে থাকে। তাদের ৯ দফা দাবি গুলো হলো:
১. নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে।
২. সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
৩.পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৪. পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে।
৬. ইনাকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে।
৭. বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে।
৮. প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে।
৯. আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
পরবর্তীতে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট উপস্থিত হন এবং বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন:ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এসএসসি ১৯৯৪ এর পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান
এর পরপরই উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইয়াকুব আলী এব ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শান্ত না হয়ে স্লোগানে পরিবেশ মুখরিত করে। পরে প্রশাসন সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষকদের মুচলেকা নিয়ে তা শিক্ষার্থীদের প্রদর্শন করলে পরিবেশ শান্ত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ১ সপ্তাহ সময় দেয় এবং দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনের হুশিয়ারী জানায়। দুপুর বারোটার দিকে শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করে।