ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব এনএস (আইইউসানস) কর্তৃক নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নম্বর কক্ষে সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখের সভাপতিত্বে আগত অতিথিদের বরণ ও নবীন-প্রবীণদের অনুভূতি প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সংগঠনটি। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার অন্যতম সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুল হক সিদ্দিকী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সদস্য মঈনুল হক আহসানী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান সহ আরোও অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. শামছুল হক সিদ্দিকী বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা কখনো পিছিয়ে থাকে না। তারা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় রেখে চলছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে এসেছে। ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা একটা আলোকিত মাদ্রাসা। এর শিক্ষার্থীরা দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে। আজ এই সংগঠনের আয়োজনই বলে দেয় ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসার গৌরব ও ঐতিহ্য। এই মাদ্রাসা দেশ ও জাতির গৌরব। এই সংগঠনের আজকের আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অন্যতম সংগঠন হবে তোমাদের এই সংগঠন। তোমাদের মাধ্যমে এই মাদ্রাসাকে মানুষ চিনবে জানবে। তোমরাই দেশের প্রতিটি অঙ্গনে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিবে। আমি তোমাদের সাফল্য কামনা করি। তোমরা সকলে মিলে একসাথে এগিয়ে যাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিবে।
সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, আজকের অনুষ্ঠান সফল করতে যেসকল ভাইয়েরা পরিশ্রম ও সহযোগিতা করেছেন সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। উপদেষ্টাদের পরামর্শক্রমে আমি একটি অ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন গঠনের চেষ্টা করবো। তবে এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতার চাই। আমরা ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসার আদর্শ অনুযায়ী সংগঠন পরিচালিত করবো। আমাদের মাধ্যমে আমাদের মাদ্রাসা ও সংগঠনের পরিচয় সকলের কাছে পৌঁছে যাবে।
পরবর্তীতে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রোগ্রামের সমাপ্তি হয়। এসময় জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা হয়।