লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় ব্যাটারী চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে তুলে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সকালে কাঞ্চনপুর করিম উদ্দিন বেপারি বাড়ী সংলগ্ন সিরাজ ও নান্নু পাটোয়ারীর সুপারি বাগানে তার লাশ পাওয়া যায়। নিহত তরুণের নাম আবুল কালাম (৩২)। তিনি রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত ছানা উল্যা পাটোয়ারীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর থেকে মাসুদ আলমের অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়। পরে রোববার বিকেলে ভুঁইয়া রাস্তার একটি দোকানে চুরি হওয়া ব্যাটারি বিক্রির সময় নিশান নামে এক যুবককে আটক করেন স্থানীয়রা। নিশান জানায়, আবুল কালামসহ আরও কয়েকজন এই চুরির সঙ্গে জড়িত। এরপর স্থানীয়রা নিশানকে মারধর করে ছেড়ে দেয়।
রোববার গভীর রাতে মাসুদ আলমের নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবক আবুল কালামকে হায়দারগঞ্জের বাংলা বাজার থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে কাঞ্চনপুর এলাকায় একটি সুপারি বাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে আবুল কালামের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম ও মা রোশন আক্তার অভিযোগ করেন, গভীর রাতে মাসুদ আলমের নেতৃত্বে তাদের স্বজনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। “যদি সে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হওয়া উচিত ছিল। এভাবে পিটিয়ে হত্যা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক পিযুস কান্তি দাস বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবু কালামের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:নগরীতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “ব্যাটারি চুরির অভিযোগে আবুল কালামকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।