ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ধানক্ষেতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং হত্যারহস্য উদঘাটন করে। নিহত ব্যক্তি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৬নং পূর্ব কেরোয়া ইউনিয়নের সদস্য মো. আরিফুর রহমান (৪৬)। ঘটনায় জড়িত অপহরণ চক্রের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতায় পিবিআই ময়মনসিংহের টিম ৩ জানুয়ারি ভোরে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানাধীন দাপুনিয়া খেজুরতলা মোড় এলাকা থেকে চার আসামিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আশিকুর রহমান (৩৫), রাহাত হোসেন তন্ময় (২৫), মো. পরশ চৌধুরী শ্রাবণ (২৯), এহতেশামুল হক নিশাত (২৫)। গ্রেফতারের পর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আসামিরা অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
জানাযায়, ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় তারাকান্দার পিঠাসুতাগামী রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে একটি অজ্ঞাত লাশের সন্ধান পায় থানা পুলিশ। খবর পেয়ে পিবিআই, ময়মনসিংহ ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় মৃত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারকে জানানো হয়।
মৃতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে তারাকান্দা থানায় মামলা করলে মামলাটি তদন্তের উদ্যোগ নেয় পিবিআই।
পিবিআই ময়মনসিংহ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা আরিফুর রহমানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিল। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ মিরপুর-১ এলাকা থেকে ভিকটিমকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে ভিকটিমের কাছ থেকে তার স্ত্রীর কাছে ফোন করিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়। তবে ভিকটিম পালানোর চেষ্টা করলে তাকে মারধর করা হয় এবং একপর্যায়ে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়।
পিবিআই প্রধান মো. মোস্তফা কামালের নির্দেশনায় পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তারের নেতৃত্বে এই মামলায় দ্রুত সাফল্য অর্জিত হয়। মাত্র দুই দিনের মধ্যে চৌকস টিমের প্রচেষ্টায় অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।