দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সরকারি খাদ্য গোডাউনে ধান-চাল ক্রয় করতে পারছে না। খোলা বাজারের দামের সাথে সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা দামে বিস্তর ফারাক হওয়ায় আভ্যন্তরিন আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে। উপজেলার মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তি আবদ্ধ হলেও অধিকাংশ মিলাররা ঐ চুক্তির বাইরে রয়েছেন। ধান-চাল বিক্রয়ে আসছে না তারা সরকারি গোডাউনে। এক কেজি ধান-চালও বিক্রয় করতে আসেনি কোন কৃষক।
বীরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত সরকারি গোডাউনের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, এবার বীরগঞ্জ সরকারি গোডাউনে ৮২২ মেট্রিক টন চাল এবং ১২৬০ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের ১৭ নভেম্বর-২০২৪ সরকারিভাবে ক্রয় উদ্বোধন হয়। কিš‘ গোডাউনে ১২৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হলেও কেউ ধান বিক্রয় না করায় উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলায় ৪৫ জন তালিকাভুক্ত মিলার রয়েছে। তারা কিছু কিছু চাল আনছেন। তাদের সাথে প্রায় প্রতিদিন যোগাযোগ করছেন খাদ্য কর্মকর্তাগণ। ধান-চাল সরবরাহের তাগিদ ও অনুরোধ জানানো হ”েছ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শতভাগ না হলেও ফিফটি পার্সেন্ট ধান চাল মিলারদের কাছে চাওয়া হলেও সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যা”েছনা তাদের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন:নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপি সভাপতি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, ক্লিনিকে ভর্তি।
সরকার ১ কেজি চালের দাম ৪৭ টাকা নির্ধারণ করেছে অথচ তা উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৫০-৫২ টাকা বলে জানিয়েছেন মিলার ও কৃষরা। এর সাথে ক্রয় কেন্দ্রে আনা নেওয়া ও শ্রমিক খরচে লোকসান হয় ৬-৭ টাকা। সরকার ধানের দর ৩২ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছেন। অথচ এর চেয়ে বেশি দাম হাটবাজারে। মোদ্দা কথা খোলা বাজারের ধান চালের মূল্যের সাথে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রের তারতম্যের কারণে মিলাররা ও কৃষকরা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ধান চাল সরবরাহে দারুন অনিহা দেখা”েছ। এতে করে বীরগঞ্জ সরকারি গোডাউনে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান বিশেষভাবে ব্যাহত হতে পারে।
বিশিষ্ট ধান চাউল ব্যবসায়ী ও মিলার সাইদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, চুক্তিবদ্ধ হলে কি হবে খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে ধান ও চালের মুল্য প্রতি কজিতে ৫-৭ টাকা বেশী। তাই ধান চাল সরবরাহকারী তথা মিলারেরা চরম বিপাকে, তারা মনে করেন সরকারী মুল্য পুনঃ নির্ধারণ না করলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়।