জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেছেন, ‘জাতীয় সংকট আমাদের আছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আরও অনেক ষড়যন্ত্র হবে। আমরা মিডিয়া যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আমরা যেন স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা না করি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার চাই আমরা, পরির্বতন চাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-সাংবাদিকসহ অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। সবার রক্তের সঙ্গে যেন আমরা বেঈমানি না করি।’
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব।
কবি হাসান হাফিজ বলেন, ‘দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের গণমাধ্যমগুলো এখনো সঠিক লাইনে আসেনি। ভারতীয় মিডিয়া আমাদের দেশ নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে। আমাদেরকে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। এখনও কেন রক্ত ঝড়বে, আমাদের সীমান্তের কাঁটাতারে ফেলানীর মতো লাশ দেখতে চাই না। আমাদের বন্ধুত্ব হতে হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।’
তিনি বলেন, আমরা যেন সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত, সাম্যের , ন্যায়ের এবং শোষণমুক্ত, মুক্তচিন্তার প্রতিধ্বনি থাকবে সেই রকম একটা বাংলাদেশ চাই। সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা সবাই মিলে কাজ করবো। আমাদের একজন মাহাথীর মোহাম্মদ লাগবে। কারন আমরা ১০০ বছর ৫০ বছর অপেক্ষা করতে পারবো না। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা নিজেদের মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। আমরা যে সুযোগ পেয়েছি সেটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে হয়তো আরও বড় স্বৈরাচার আমাদের ওপর চেপে বসবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাব আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যখনই ঢাকায় যাবেন আপনাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় অবারিত। আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাবো।’
বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে নতুন স্বপ্ন দেখছি আমরা। নতুন করে সাংবাদিকতাকে আবার বাংলাদেশে স্টাবলিশ করার জন্য স্বপ্ন দেখছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা চলে গিয়েছিলো জাদুঘরে। আজকে সাংবাদিকতাকে জাদুঘর থেকে বের করে আনতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবো। যার ফলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ঢাকায় গেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব অন্তবর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত। এছাড়া, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য শাহনেওয়াজ রিটন সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।