কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার খড়বাড়ি বাজারে আজ সকালে (৩০ শে ডিসেম্বর) লালমনিরহাটের মোগলহাট গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদিনকে দেখা গেলো ফুলকপি বিক্রি করতে। তবে যা দেখলেন তাতে অনেকেই বিস্মিত। চারটি ফুলকপি মাত্র ১০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।
কৃষক জয়নাল আবেদিন জানান, “কপি জমিতে পচে যাচ্ছে। আশেপাশের বাজারেও বিক্রি হয় না। বাধ্য হয়ে গাড়ি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে যাচ্ছি। কিন্তু দাম এমন নিচে নেমেছে যে ৪টা কপি ১০ টাকায় দিতে হচ্ছে।”
এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। জয়নাল আবেদিনের মতে, “এতে গাড়ি ভাড়াই উঠে না, লাভ তো দূরের কথা। জমিতে আরও অনেক কপি আছে, কিন্তু এই দামে বিক্রি করে কোনোমতে খরচও উঠে না।”
খড়বাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, “বাজারে এসে দেখি জয়নাল ভাই পানির দামে কপি বিক্রি করছেন। এত কম দামে কপি পেয়ে আমিও ১০ টাকায় ৪টা কপি কিনে নিলাম। কিন্তু এমন অবস্থা কৃষকদের জন্য মোটেও ভালো নয়।”
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, ফুলকপিসহ অন্যান্য শাকসবজির ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া এবং কৃষকদের জন্য ন্যায্যমূল্য নির্ধারণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন:পরপর ৩ কন্যাসন্তান, স্ত্রীকে পেট্রোলে দিয়ে পুড়িয়ে মারল স্বামী
কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা কৃষকরা পরিশ্রম করে জমিতে ফসল ফলাই। কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা শুধু লোকসান গুনছি। আমাদের বাঁচাতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমানো দরকার।”
তবে কৃষকদের দাবি, সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।