Homeজেলানাগেশ্বরী উপজেলার জনবান্ধব সহকারী ভুমি কমিশনার মাহমুদুল হাসান

নাগেশ্বরী উপজেলার জনবান্ধব সহকারী ভুমি কমিশনার মাহমুদুল হাসান

নাগেশ্বরী উপজেলা, কুড়িগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল, যেখানে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন অনেক কর্মকর্তা। এর মধ্যে অন্যতম একজন হলেন সহকারী ভূমি কমিশনার (এসি ল্যান্ড) মাহমুদুল হাসান। তার কর্মতৎপরতা এবং জনকল্যাণমূলক ভূমিকার জন্য তিনি ইতোমধ্যেই এলাকায় একজন প্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন।

মাহমুদুল হাসান নাগেশ্বরী তে যোগদান করেন ৪ জুন ২০২৪। তার কাজের মূল ভিত্তি হল সততা, নিষ্ঠা এবং সাধারণ মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতা। ভূমি সংক্রান্ত জটিল সমস্যা দ্রুত সমাধানে তার অসামান্য দক্ষতা তাকে এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করতে সাহায্য করেছে। তিনি নাগরিক সেবা প্রদান এবং জমির মালিকানা সংক্রান্ত নথিপত্র সহজ করার জন্য একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।তার অধীনস্হ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে জনবান্ধব, দূর্ণীতি মূক্ত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।এর সুফল পেতে শুরু করেছে সেবা গ্রহিতারা।

অফিসের দরজা সর্বদা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখার মাধ্যমে মাহমুদুল হাসান একটি গণমুখী প্রশাসনের উদাহরণ স্থাপন করেছেন। তার অফিসে জমি-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যাওয়া মানুষরা অতি সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন। ঘুষবিহীন সেবা এবং দ্রুত কাজ শেষ করার মনোভাব তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।

মাহমুদুল হাসান ভূমি অফিসে ডিজিটাল প্রযুক্তি সংযুক্তির মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা করছেন। অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা প্রদানের উদ্যোগ তার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি করেছে।

তার জুলাই আন্দোলনের সময়কার ভূমিকা এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা ও অহিংস আন্দোলনের পথে চলার পরামর্শ এলাকায় অহিংস আন্দোলন পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।

অতি সম্প্রতি তিনি এলাকায় গড়ে ওঠা ইট ভাটা গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকার উর্ধ্বে সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভুমিকা রেখেছেন।

ভূমি অফিসের কাজের বাইরে মাহমুদুল হাসান সামাজিক কাজেও যুক্ত রয়েছেন। বিগত বন্যায় প্রশাসনিক উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এর ফলে এলাকার মানুষের কাছে তিনি কেবল একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়, বরং একজন পরোপকারী মানুষ হিসেবে পরিচিত।

মাহমুদুল হাসানের মতো একজন কর্মনিষ্ঠ ও জনবান্ধব কর্মকর্তার উপস্থিতি নাগেশ্বরী উপজেলায় উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। তার প্রচেষ্টা শুধু বর্তমানে নয়, ভবিষ্যতেও এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মাহমুদুল হাসানের মতো কর্মকর্তারা প্রমাণ করেন যে সৎ এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা দ্বারা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানুষের হৃদয় জয় করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর