অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যাসেবা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের সেবাধর্মী হাসপাতাল নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আলিফ মিম হাসপাতাল। গত ২৪ শে নভেম্বর জমজ দুই শিশুর জন্ম হয়েছে হসপিটালে সিজার ছাড়াই। নরমাল ডেলিভারিতে শিশু দুজন সুস্থ আছেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে সুমন ও সুজন।
এদিকে আলিফ মিম হাসপাতালের নরমাল ডেলিভারিতে জমজ শিশু জন্মদানের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক হাসপাতালটিতে উৎসুক জনসাধারণের ভিড় লেগে যায়।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক জেনি ফারজানা আলম বলেন, সিজার নয়, আমাদের চিকিৎসা সেবা মানুষের জন্য মানবিকতা। শিশু ও মা দুইজন ভালো আছেন। সিনিয়র অ্যানেস্থেসিয়া ডা. ফুয়াদুল ইসলাম, শিশু চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম, দক্ষ ও অভিজ্ঞ ডিপ্লোমা নার্স এর তত্ত্বাবধানে আমরা ঠিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যাসেবার জন্যই নয় সারাদেশের রুগীরা যেন এই হাসপাতালে আসে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান আলীফ মিম গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন।
তিনি জানান সহযোগিতা ও দোয়া নিয়ে হাটি হাটি পায়ে আমরা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সকল ধরনের উন্নত যন্ত্রপাতি দিয়ে হাসপাতালটি চালু করেছি। আমার অনেক মা- বোনেরা আছেন, আপনাদের আশেপাশে অনেক অসুস্থ রোগী আছে। এসব রোগীরা রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, চৌমুহনী, মাইজদী বা বিভিন্ন স্হানে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। আপনারা যদি একটু অর্গানাইজ করে এসব রোগীদেরকে আমাদের এখানে পাঠান, তাহলে আপনাদের এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হবে আর এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি হলে আপনিই লাভবান হবেন। রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে নানানরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে টাকা খরচ করেন। আমি বলতে চাই, আশেপাশের যেকোনো হাসপাতালের চেয়ে আলিফ মীম হাসপাতালের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি অনেক উন্নত ও আধুনিক। আমাদের এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে যেসব রোগী আসবে তাঁরা উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে বলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার, চররুহিতা, উত্তর ও দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার সোনাপুর, চরমোহনা ও বামনী ইউনিয়নের প্রায় তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার সহযোগিতার লক্ষ্যে এটি চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আলিফ-মীম হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা পঞ্চাশটি করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ধরনের উন্নত মানের অত্যাধনিক মেশিনপত্র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ হাসপাতালটিতে আনা হয়েছে। এতে করে এলাকার রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব। এখন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আশেপাশের এলাকার রোগীদের দুর দুরান্ত নোয়াখালী বা ঢাকা যেতে হবে না।
উল্লেখ্য আলিফ-মিম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করা হয়। গত(১১ নভেম্বর ) উদ্বোধন হয়।