কুড়িগ্রামে শ্রী গোপাল রায় (৫৫) নামের এক ব্যক্তির কেনা সম্পত্তি জোর জবরদস্তি করে বেদখল ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মঞ্জু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা ও জমি ফিরে পাওয়ার জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী গোপাল রায়।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের মিস্ত্রি পাড়া এলাকার শ্রী গোপাল রায় (৫৫) সদর উপজেলার কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়নের খালিশা কলোয়া গ্রামের কল্লভবকসীর ওয়ারিশ পুত্র রতন বকসীর নিকট এক একর জমি ক্রয় করেন। পৈতৃক সুত্রে মালিক রতন বকসীর রেকর্ডীয় জমি যাহার দাগ খতিয়ান নম্বর জেএল নং- ২০, মৌজা। খালিশা কালোয়া, আর এস খতিয়ান নং- ৪৮১, দাগ নং- ৭৫,৭৬,৮৮,৪৮৩,৫৩২, আর এস খতিয়ান নং- ৪৮২, দাগ নং- ৮১,৮২,৯০১০৬,৯৩,৪৮২,৪৯৮,৪৯৯,৫৪৬ কুড়িগ্রাম সদর, ইউনিয়ন: কাঁঠালবাড়ী। জমির দীর্ঘকাল হতে নিয়মিত খাজনা দিয়ে আসলেও সংখালঘু হওয়ায় ওই এলাকার একটি চক্র জোর জবরদখল করে রেখেছে।
আরও পড়ুন:নাগেশ্বরীতে জুবায়ের পন্থীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান।
জমি উদ্ধারের স্থানীয় ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিলে প্রতিপক্ষ শক্তি আর ক্ষমতার দাপটে পেড়ে উঠতে পারছে না জমির প্রকৃত মালিকরা। জমির বর্তমান মালিকসহ পুর্ব মালিক শ্রী গোপাল রায়সহ পুর্ব মালিক রতন কুমারসহ পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় হামলা ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে চক্রটি। উপায়ন্তর না পেয়ে এ ঘটনা থানায় অভিযোগ করেন তারা।
অভিযুক্তরা হলেন, কাঁঠাল বাড়ি ইউনিয়ন খালিশা কলোয়া গ্রামের মঞ্জু মিয়া (৩৫), রফিক (৩০) আমেনা বেগম (২৭), উভয়ের পিতা মৃত আমির আলী, উভয়ের সাং খালিশা কালোয়া, কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের কালোয়া এলাকার মৃত মোকছেদ আলীর পুত্র, সাজু (৫০), একই এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে রোস্তম আলী (৫৫), মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে গোলাজার আলী সরদার (৫০), মৃত বানভাসার পুত্র মকবুল হোসেন (৫০)।
এব্যাপারে জমির পুর্ব মালিক রতন বকসী বলেন, আমি সংখ্যালঘু হওয়ায় মঞ্জু মিয়ার লোকজন আমার জমি দখল ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমরা পাত্তা পাচ্ছি না। বিক্রি করা জমিও দখলে নিয়েছে তারা।
কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগকারী শ্রী গোপাল রায় জানান, আমি জমি কিনেছি, কাগজপত্র সব ঠিকঠাক আছে। কিন্তু ওই এলাকার কিছু লোকজন জমি জোর পূর্বক দখল করে আছে। জমি আমাকে ছেড়ে দিচ্ছে না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম জানান, আমাদের এক অফিসারকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে দেয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।