বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দুনিয়ার কোনো শক্তি বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালাতে পারবে না।’
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর লিল্লাহ মসজিদ মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ব্যানারে আয়োজিত শ্রমিক গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ থেকে ইসকনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করেছে। আইনজীবী সাইফুল আলম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে।
তারা ভেবেছিল দেশটাকে অস্থিতিশীল করলে আবার হয়তো স্বৈরাচার ফিরে আসবে। যে স্বৈরাচার একবার পালিয়ে গেছে দ্বিতীয়বার সেই স্বৈরাচার বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারবে না। সে জন্য দল-মত, জাতি, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ পরিবেশ তৈরি রাখলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ নস্যাৎ করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘একসময় পাটকে সোনালি আঁশ বলা হতো।
সেই সোনালি আঁশ পরবর্তীতে গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে। এটা করেছিল সেই সরকার, যারা স্বাধীনতার নামে দেশকে পরাধীনতায় আবদ্ধ করে দিয়েছিল। এই পরাধীনতার কারণে মানুষের মধ্যে আন্দোলনের চেতনা সৃষ্টি হয়। ওই পরাধীনতাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরিণত হয়েছে।
মানুষ মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলেতে পেরেছে। এই স্বাধীনতাকে যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে সে জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে আপনারা যদি সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন তাহলে আপনাকে ব্যবসার জন্য, তরকারি বিক্রির জন্য, রিকশা-ভ্যান কেনার জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে না। জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে জামায়াতে ইসলামী সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মহসিন কবীর মুরাদ প্রমুখ।