প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভা।জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার যৌথ প্রতিবাদ সভা করেছে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তারা। সংস্কার কমিশন সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার যে সুপারিশ করার কথা বলছে, সেটিকে বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক, ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করেন প্রশাসন ক্যাডারের এসব কর্মকর্তারা। এরই প্রতিবাদে এই যৌথ প্রতিবাদ সভা করেছেন তারা।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্।
আরও পড়ুন:পেনশন পুনঃস্থাপনের বয়সসীমা ১০ বছর করার দাবি
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এ প্রতিবাদ সভা শুরু হয়।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, ‘উপসচিব পদে এই ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কিনা এটাও আমাদের দেখতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও বাসা মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
সম্মানিত আলোচক হিসেবে ছিলেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।
অন্যদিকে পদ ও পদোন্নতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার এক ঘণ্টার ‘কলমবিরতি’র মাধ্যমে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি করারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
প্রশাসনের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারের জন্য রাখার দাবিতে রবিবার সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় জমায়েতের এক দিনের ব্যবধানে এ ‘কলমবিরতি’র কর্মসূচি পালিত হয়।
সরকারের উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল, নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব দেওয়া এবং সব ক্যাডার কর্মকর্তার সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে এ ‘কলমবিরতি’ পালন করা হয়।
এদিকে দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’র সমন্বয়ক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান।