গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে পেনশন বৈষম্য দূরীকরণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দাবি জানানো হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন পেনশন বৈষম্য দূরীকরণ পরিষদ শতভাগ সমর্পিত পেনশন পুনঃস্থাপনের বয়সসীমা ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছর করার দাবি জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি তুলে ধরে। এ ছাড়া নতুন ও পুরাতন স্কেলের পেনশনারদের এক পদ এক পেনশন চালুকরণ ও কর্মরত গণকর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতাসহ পেনশনারদের চিকিৎসা ভাতা যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে পেনশনারদের দুরবস্থা তুলে ধরে বলা হয়, ১৯৯৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অনেক সরকারি কর্মচারী ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বিয়ে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেন। কিন্তু পরে মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ কমে যাওয়ায় তারা আর্থিক সংকটে পড়েন।
আরও পড়ুন:হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, যা বললেন জয়
আরও জানানো হয়, ২০১৮ সালে সরকার শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশন ১৫ বছরে পুনঃস্থাপনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে বর্তমান গড় আয়ু ৬৯.৬ বছর হওয়ায় ১৫ বছরের এই সময়সীমা বেশির ভাগ পেনশনারদের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
যদি পেনশন পুনঃস্থাপনের সময়সীমা ১০ বছর করা হয়, তাহলে উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা জীবনের শেষ সময়গুলো আর্থিক নিরাপত্তা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পেনশনারদের চিকিৎসাভাতার অপ্রতুলতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, বয়স্ক পেনশনাররা ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস, ডায়ালাইসিস, স্ট্রোক এবং স্নায়ুরোগের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার মুখোমুখি হন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তাদের অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। মাসিক ইনসুলিন কেনার জন্যই ন্যূনতম ১০-১৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হয়, যা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পেনশনারদের পক্ষে বহন করা প্রায় অসম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পেনশন বৈষম্য দূরীকরণ পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সমিতির মহাসচিব ও সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনতাজ আলী প্রমুখ।