গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আপনারা যদি ভেবে থাকেন, কোনও বিশেষ দল ক্ষমতায় আসছে, তাদের সঙ্গে খাতির করে তাদের নিয়ে কাজ করি। ভুল করবেন। কে ক্ষমতায় আসবে এটা এখনই কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ভাদুঘর পালকি কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে জনআকাঙ্খার রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূর এসব মন্তব্য করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনও রাজনৈতিক জোট করিনি। আগামী নির্বাচনে গণধিকার পরিষদ এককভাবে ট্রাক প্রতীকে সারা দেশে নির্বাচনে অংশ নেবে। তখন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে আন্দোলন করব।
তিনি বলেন, চার মাস পার হলেও দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি এবং এই ধরনের মাজা ভাঙা উপদেষ্টাদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতা কম, যা সরকারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করছে। রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এবং এর পরিচালনায় রাজনীতিবিদদেরই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেন, আজকে আমরা রাজনীতিবিদদের লুটপাট-দুর্নীতি ও হাসিনার ফ্যাসিবাদের কথা বলছি। হাসিনা ফ্যাসিবাদী হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী এ দেশের আমলাতন্ত্র। এসপি বলেন, ডিসি বলেন, তারা বহাল তবিয়তে আছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ- দেশ ছাড়ছে। তাদের অনেকের মধ্যে মামলা হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছেন। কয়জন এসপি-ডিসি গ্রেফতার হয়েছেন? কয়জন ইউএনও-ওসি গ্রেফতার হয়েছেন? এই ওসি, ডিসি, ইউএনও, এসপিরা হাসিনার আকাম, কুকামের সহযোগী ছিল। হাসিনার বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনের মধ্যেও যারা সরকারি আমলাতন্ত্রে নিয়োজিত আছেন, তারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর, সহযোগী ছিলেন- তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি অবশ্যই করতে হবে।
কেন্দ্রীয় মৎস ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হাসান তপুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক নাদিম হাসান, গণঅধিকার পরিষদের, কেন্দ্রীয় আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্নআহবায়ক এড. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় জেলা, বিভিন্ন উপজেলা ও সাবেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।