রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চাঞ্চল্যের স্বামী পরিত্যক্তা নারী হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামি আরিফ সেখ (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তাকে ঢাকার সাভার থানার গেন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন বলেন আসামী আরিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ শেখ বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলাউদ্দিন সেখের ছেলে। অন্যদিকে নিহত সালমা আক্তার (৩৩) উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মন্ডলের মেয়ে।
পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন বলেন,ঘটনার দিন আরিফ সালমার বাড়ির সীমানা দিয়ে হেঁটে আসার সময় সালমা আরিফকে গালি দেয়। পাল্টাপাল্টি গালিগালাজের এক পর্যায়ে আরিফ বলপ্রয়োগ করে সালমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে অজ্ঞান করে, পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে সালমার পরনের ওড়না দিয়ে লেবু গাছের সাথে পেঁচিয়ে দেয়।পরে সে স্থান ত্যাগ করে ঢাকার সাভার থানার গেন্ডা এলাকায় চলে যায়। সেখানে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিলো।গ্রেপ্তারকৃত আরিফকে গতকাল ২০শে ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০০৭ সালে গোবিন্দপুর গ্রামের আকামুদ্দিন সরদার (৪০) এর সাথে সালমার বিয়ে হয়।তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে। গত ২০২১ সালে পারিবারিক কলহের জের ধরে সালমার সঙ্গে তার স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকেই সালমা তার সন্তানসহ আলাদাভাবে বসবাস করে। গত ১লা নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সালমা তার বাবার বাড়িতে যায়, কিছুক্ষণ থেকে মাগরিবের নামাজের সময় আবার চলে আসে।পরবর্তীতে সালমার মেয়ে তার মা কে খোঁজার জন্য তার নানা বাড়িতে যান। তখন সালমার বাবা তার নাতিসহ মেয়ে সালমাকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামের সায়েন্স উদ্দিন শেখের লেবু বাগানে একটি লেবু গাছের ডালে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সালমাকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গত ২রা নভেম্বর নিহত সালমা আক্তারের বাবা মোঃ সৈয়দ আলী মন্ডল (৬৩) বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।