ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের হাতে পাসপোর্ট অফিসের এক দালাল ধরা পড়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযানে তারা রুপম নামের এক দালালকে আটক করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবেল জানান, বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট করতে বন্ধুর ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে দালাল রুপমের সাথে যোগাযোগ হয়। এরপর রুপম তাকে ঝিনাইদহের আরাপপুর এতিমখানা মোড়ের রঙধনু কম্পিউটারে আসার জন্য বলেন। সেখানে রুপমের সাথে দেখা হয়। রুপম রঙধনু কম্পিউটারের শাহিনের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য ১৩ হাজার ২শ টাকা নেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে রুপম নিজের মোটরসাইকেলে চড়ে রুবেলকে জেলা পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যান। বিভিন্ন কক্ষে রুবেলকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কাজ করান।
একপর্যায়ে রুবেল রুপমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, পাসপোর্টের মূল খরচ ৮ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে তিনি অতিরিক্ত ৫ হাজার ৯০০ টাকা নিয়েছেন। পরে দালাল রুপমকে উপ-পরিচালক ফাতেমা বেগমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি রুপমের বিরুদ্ধে একটি মুসলেকা গ্রহণ করেন এবং অতিরিক্ত নেওয়া অর্থ ভুক্তভোগীকে ফেরত দেন।
দালাল রুপমের দাবি, তিনি ভুক্তভোগীর আত্মীয়ের মাধ্যমে এখানে এসেছেন, তবে রুবেল জানান, তার সাথে রুপমের কোন সম্পর্ক নেই। এদিকে রুপম আরও দাবি করেন যে, লাভের টাকা তিনি রঙধনু কম্পিউটারের শাহিনের কাছ থেকে নিয়েছেন। শাহীনের সাথে মোবাইলফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ‘রুপমের সাথে আমার কোনো পরিচয় নেই, তবে যখন রুবেল আমার কাছে এসেছিল, তখন কিছু জরুরি ফরম পূরণ ও ব্যাংক জমা করতে সাহায্য করেছি।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নেত্রী এলমা খাতুন বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এখানে কোনো দালাল চক্রের স্থান হতে পারে না।’
ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক ফাতেমা বেগম জানান, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন প্রতিষ্ঠানটি দালালমুক্ত হয়।’