দিনাজপুরের বীরগঞ্জে কারো মৃত্যুর খবর শুনলেই ছুটে যান তহিদুল ইসলাম (৬৫)। দিন কিংবা রাত যেকোনো সময় কবর খোঁড়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন তিনি। পেশায় লেবার হলেও কাজের জন্য পারিশ্রমিক নেন না। গত ৪০ বছর স্থানীয়দের জন্য কাজটি করেন।
মোঃ তহিদুল ইসলামের বাড়ি বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের চাকাই গ্রামের প্রয়াত মকবুল হোসেনর ছেলে। বাবার কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ও আদর্শই তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রায় ২০০ জনের বেশি মানুষের জন্য কবর খুঁড়েছেন। এই মানবিক কাজ কখনো থেমে থাকেনি।
তহিদুল বলেন, কবর খোঁড়া শুধু একটি কাজ নয়, এটি স্রষ্টার প্রতি ভালোবাসা। ২৪ বছর বয়স থেকেই কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করি। গত ৪০ বছর ধরে মারা যাওয়া মানুষের জন্য কবর খোঁড়ার কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, যতদিন কাজ করার সুযোগ পাবো, ততদিন কাজ চালিয়ে নিব। কবর খোঁড়ার কাজ করে যেতে চাই। শুধু মানুষের ভালোবাসা পেলেই তৃপ্ত আর কারো কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই।’
তহিদুলের ছোট ছেলে নুরনবী (১৯) বাবার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে ৫০টির বেশি কবর খুঁড়েছেন। পাশাপাশি একই গ্রামের হবি ও আলামিনসহ আরো কয়েকজন যুবক তহিদুলের অনুপ্রেরণায় এই মহৎ কাজে যুক্ত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে সমাহিত করা জীবিত মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। যত দিন বেঁচে আছি এ কাজ চালিয়ে যাব। কাজের সম্মানীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কবর খোঁড়ার জন্য কারো কাছ থেকে টাকা নেই না।