অদ্য ১৬ ডিসেম্বর /২৪ সকাল ৭.০০ ঘটিকায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প স্তবক অর্পণে কে আগে পুস্প স্তবক দেবে আর কে পরে দেবে এই বিষয় কেন্দ্র করে দলটির দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি ও চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান(রানা) এর সমর্থক ও উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন শিকদার এর সমর্থকদের মাঝে সকাল ৭.০০ ঘটিকায় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করাকে কেন্দ্র করে মারামারি,ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।এরপর কুড়িগ্রাম জেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত গ্রুপ মিছিল করে।অপর দিকে উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন শিকদার সমর্থিত গ্রুপ ও মিছিল করার প্রস্তুতি গ্রহন করলে উপজেলা সদরে থমথমে ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।এ সময় আওয়ামিলীগ থেকে নব্য বি এন পি নেতা মামুন ব্যাপারী (সাবেক আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক মরহুম এছাহাক আলী ব্যাপারীর ছেলে) বি এন পি পরিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আকরাম মোল্লার ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা মাসুদ মোল্লা কে গুরুতর আহত করে।মাসুদ মোল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুরুঙ্গামারী হাসপাতাল রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষই নিজেদের গ্রুপকে বিএনপির প্রকৃত নেতৃত্ব দাবি করে আসছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই ঘটনার ফলে বিরোধ আরো প্রকাশ্যে চলে আসে।যা বি এন পি র স্থানীয় রাজনীতি তে চরম ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলেও স্থানীয় রাজনীতি সচেতন মহল জানান।
স্থানীয় বি এন পি রাজনীতির নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা জানান জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান (রানা) ও সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শাহীন শিকদার এর মাঝে এই বিভাজন বি এন পি র স্থানীয় রাজনীতিতে সমর্থকদের মাঝে হতাশা ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে,যা আসন্ন নির্বাচন এ দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।”
উল্লেখ্য – এই বিভাজনের চিত্র কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী তেই শুধু নয়, কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি জনাব তাসবিরুল ইসলাম এর উপজেলা উলিপুর ব্যাতিত নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী,চিলমারী, রাজারহাট, রাজীবপুর, রৌমারী প্রতিটি উপজেলায় বিরাজমান।
এই বিভাজন শুরু হয় জেলা সাবেক সভাপতি তাসবিরুল ইসলাম ও সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান (রানা) দ্বয়ের মতনৈক্যের ফলে।আলহাজ্ব সাইফুর রহমান (রানা) জেলার উপজেলা সমূহে কেন্দ্রীয় ভাবে অনুমোদিত কমিটি থাকা সত্ত্বেও তার একক নেতৃত্বে প্রতিটি উপজেলাতেই নতুন করে কমিটি তৈরি করেন।তার তৈরী করা কমিটি প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ডেও নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই উপজেলা সমূহে জেলার সাবেক সভাপতি তাসবিরুল ইসলাম সমর্থিত ও জেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান(রানা) সমর্থিত দুই টি গ্রুপের সৃষ্টি। যার ফলে প্রতিটি উপজেলায় মাঝে মাঝেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
এই অবস্থা উত্তর ঘটানো না গেলে জেলা ব্যাপী বি এন পি র রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে রাজনীতি সচেতন মানুষ মতামত প্রদান করেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল সমাধান না হলে কুড়িগ্রাম জেলার সব চেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বি এন পি র চরম ভরাডুবি সময়ের অপেক্ষা মাত্র।