লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার দোয়ানী মোড়ে পিকআপ ভ্যান থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনায় উপ সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৫,তারিখ ১১/১২/২৪। ওই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলাম সবুজ পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বড়খাতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় এই লুটের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধভাবে ৮০ বস্তা বিভিন্ন সার বিক্রি করেন। সেই সারগুলো নিয়ে একটি পিকআপযোগে পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকায় শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন তথ্যমতে সে নিজেই উপুস্থিত থেকে এবং ছাত্রদলের রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন গাড়ি থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়।পরে পুলিশ খবর পেয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেওয়া তথ্যমতে অপর একটি বাড়ী থেকে আরো ৩৬ বস্তাসহ মোট ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।
এ দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য আহবায়ক রুবেল ইসলামের সাৎে কথা বলেন, ‘ ওই ঘটনায় রাশেদুল ইসলাম সবুজ ও শরিফুল ইসলামকে তাদের সকল পদপদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত উপ সহকারীর কৃষি অফিসার শামসুজ্জোহা সেবিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিয়োগ সত্য নয়, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাসানোর চেষ্টা করছে। আমি এবিষয়ে কিছুই জানিনা।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী বলেন, ‘লুট হওয়া ৫৩ বস্তা সারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার ও ২ জনকে আটক করা হয়েছে। সার লুটের ঘটনায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন পার্শ্বতী পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে উপ সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত আছেন।
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ: গাফ্ফার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সামসুজ্জোহা খন্দকার সেবিন আমার উপজেলায় উপ সহকারীর কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। আমি শুনেছি হাতীবান্ধা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমি বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।