গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা দালাল নই। ক্ষমতাপিপাসু নই। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রফেসর ড. ইউনূসও যদি হন, তাকেও ছেড়ে কথা বলব না।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আন্দোলনে নিহতদের মরদেহ কবর থেকে তোলার বিষয়ে প্রশ্ন রেখে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছেন। শেখ মুজিবের হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই আগস্টের শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে।
ভারত প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে। বাংলার মাটিতেই খুনি হাসিনার বিচার করা হবে।’
রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও রাজশাহী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ ৪৬টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।