লক্ষ্মীপুরে জিহাদী বাহিনী জিহাদী এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে, সাবেক যুবলীগ সভাপতি ছাত্র হত্যা কাণ্ডে সালাউদ্দিন টিপুও গ্রেপ্তার হয়নি ৪মাসেও। ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাসের জনপদখ্যাত লক্ষ্মীপুরে এখনো দাবড়ে বেড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক বাহিনীর দুই হাজারের বেশি সন্ত্রাসী। চলছে দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধ। এই সন্ত্রাসীদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এরা নির্বিঘ্নে করছে এসব অপরাধ।
এসব বাহিনীর অনেকে বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ নানা মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি হলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাহস পাচ্ছেন না। কোনো কোনো ভুক্তভোগী থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট দেশে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে আর এই সুযোগে সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো এলাকায় ফিরে এসে বীরদর্পে তাদের অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় একসময় শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী রাজত্ব চালায়। সে সময় অনেকেই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হতাহত হন। আবার অনেকেই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পরিবার-পরিজন নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর ভূমিকার কারণে এসব সন্ত্রাসী বাহিনী সাময়িকভাবে দমে ছিল। পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর প্রধান সোলেমান উদ্দিন জিসান, দিদার বাহিনীর প্রধান দিদার, সোলেমান বাহিনীর প্রধান সোলেমান, নাছির বাহিনীর প্রধান নাছির, শামীম বাহিনীর প্রধান শামীম, সেলিম বাহিনীর প্রধান সেলিম, বাবুল বাহিনীর প্রধান আসাদুজ্জামান বাবুল, লাদেন বাহিনীর প্রধান মাসুম বিল্লাহ ওরফে লাদেন মাসুমসহ কয়েকজন বাহিনীপ্রধান নিহত হন। এ ছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে নিহত হন মনির বাহিনীর প্রধান মনির, আনোয়ার বাহিনীর প্রধান আনোয়ার, মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন, ভুলু বাহিনীর প্রধান ভুলু, গুল কামাল বাহিনীর প্রধান কামাল হোসেন, সাফু বাহিনীর প্রধান সাফু, নোমান বাহিনীর নোমান, আলাউদ্দিন বাহিনীর প্রধান আলাউদ্দিন, রতন বাহিনীর প্রধান রতন, মুন্না বাহিনীর প্রধান মোসলেহ উদ্দিন মুন্নাসহ আরও কয়েকজন বাহিনীপ্রধান নিহত হন।
এসব বাহিনীর প্রধানরা নিহত হলেও তাদের হাতে থাকা বিপুল পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশ প্রশাসনও অস্ত্রগুলো উদ্ধারে তৎপর হয়নি। প্রধানদের মৃত্যুর পর সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর তৎপরতা সাময়িকভাবে থেমে গেলেও পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ বাহিনীর নেতৃত্ব দলের অন্য কেউ গ্রহণ করে তৎপরতা শুরু করে। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্রিয়তার কারণে দিপু বাহিনীর প্রধান মাহমুদুল করিম দিপু, তাজু বাহিনীর প্রধান তাজুল ইসলাম মেম্বার, টাইগার বাহিনীর প্রধান ওমর ফারুক, হিরো বাহিনীর প্রধান হিরো চৌধুরী, আমির বাহিনীর প্রধান হাজি আমির হোসেনসহ কয়েকটি বাহিনীর প্রধান তাদের বাহিনী বিলুপ্ত করে অপরাধ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৫০টির বেশি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের কারও কারও মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলের ত্রাস জিসান বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের লতিপুর গ্রামের কাউসার ওরফে ছোট কাউসার। কাউসারকে মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন, জামাই ফারুক হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। হত্যাসহ বিচারাধীন আরও এক ডজনের বেশি মামলা। এ বাহিনীর হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর কাউসারের নেতৃত্বে জিসান বাহিনী এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে।
একই এলাকায় কাজী বাবলু বাহিনী তৎপরতা চালিয়ে গেলেও সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এ বাহিনীর সদস্যরা অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে আছে। এ বাহিনীর হাতে রয়েছে দুই ডজনেরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র। ডাকাত নাছির বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলো কাজী বাবলুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই এলাকায় আরেক সন্ত্রাসী বাহিনী হলো নিকু বাহিনী। এই বাহিনী এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। নিকু বাহিনীর নিকুর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, অস্ত্রসহ বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সদর উপজেলার হাজীরপাড়ায় তৎপর রয়েছে নিজাম উদ্দিন মুন্না বাহিনী। এই বাহিনীর প্রধান নিজাম উদ্দিন মুন্না একটি অত্যাধুনিক জি-থ্রি অস্ত্র ও ২০০ রাউন্ড বুলেটসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে যুবলীগের সংঘর্ষ চলাকালে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এ বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে এসে যুবলীগকে সহযোগিতা করে। এই সংঘর্ষে চারজন মেধাবী ছাত্র নিহত হন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নে সক্রিয় রয়েছে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এর মধ্যে জিহাদি বাহিনী, নোমান বাহিনী, লাদেন বাহিনী এলাকায় বেশ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জিহাদি বাহিনীর হাতে নোমান বাহিনীর প্রধান নোমান ও তার সহযোগী রাকিব নিহত হওয়ার পর জিহাদি পালিয়ে যান। এখনো তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা এলাকা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন ফয়সাল দেওয়ান। লাদেন বাহিনীর প্রধান মাসুম বিল্লাহ লাদেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর এ বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বালাইশপুর গ্রামের বারাকাত। আর নোমান বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন রাকিব হোসেন প্রকাশ ওরফে ভাগিনা রাকিব। এই এলাকার আরেক বাহিনীর নাম কিরণ বাহিনী। কিরণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন নন্দীগ্রামের সাতবাড়ির সিরাজউল্লার ছেলে মুরাদ। দত্তপাড়া ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাহিনী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শামীম বাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান শামীম বাবলু বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শ্রীরামপুর গ্রামের মো. কাউসার। এই এলাকায় বর্তমানে নোব্বা বাহিনীর নবীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সক্রিয় রয়েছে। এই এলাকার আজিজ বাহিনী, ইসমাইল বাহিনী, হুমা বাহিনীর সদস্যদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র থাকলেও তাদের এখন দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নে রয়েছে মাওলা বাহিনী, লেংলা ফরহাদ বাহিনী, পিচ্চি আনোয়ার বাহিনী, শাহজাহান মেম্বার বাহিনী। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শাহজাহানের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এ ঘটনার পর থেকে শাহজাহান ও তার বাহিনীর সদস্যরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এই বাহিনীগুলোর কাছে রয়েছে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুরে বর্তমানে তৎপর রয়েছে কদু আলমগীর বাহিনী ও জিহাদি বাহিনী। ৫ আগস্টের পর দুই বাহিনীর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কদু আলমগীর নোমান হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পর এলাকায় এসে আবার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছেন। গত মাসের শেষ দিকে কদু আলমগীর তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ইউনিয়নের দক্ষিণ মাগুরী মতার হাটের নূরনবীর মুদি দোকানে গুলি চালিয়ে দোকানের মালামাল ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যান।
সদর উপজেলার দিঘলি ইউনিয়নে তৎপর রয়েছে আজগর ও সোহেল বাহিনী। মান্দারী ইউনিয়নে রয়েছে তালেব ও রুবেল বাহিনী। চরশাহী ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি বাহিনী বিগত সময়ে তৎপর থাকলেও বর্তমানে রিয়াজ বাহিনী, মিঠু-মিল্লাত বাহিনী অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কুশাখালী ইউনিয়নে রয়েছে হেডম জাহাঙ্গীর বাহিনী, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে বিপ্লব বাহিনী, রাসেল বাহিনী, চররুহিতায় জহির বাহিনী, আবুল খায়ের বাহিনী, কালা বাচ্চু বাহিনী, চররমনী মোহনে কামরুল সরকার বাহিনী, ইউছুফ ছৈয়াল বাহিনী, মোল্যাহ বাহিনী, আলমগীর মেম্বার বাহিনী, দালাল বাজারে নুরনবী চেয়ারম্যান বাহিনী, দক্ষিণ হামছাদিতে ফরিদ বাহিনী, বাহার বাহিনী এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভা এলাকায় তাহের বাহিনী ও টিপু বাহিনীর তৎপর রয়েছে।
এদিকে বশিকপুরে কয়েকটি বাহিনীর সমন্বয়ে একটি বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্থানীয়দের কাছে এ বাহিনী মিশ্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত। এ বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন আলামিন নামের এক সন্ত্রাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই বাহিনীর সদস্যসংখ্যা ৫০-এর বেশি। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বশিকুর মাদ্রাসার পূর্ব পাশে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে। বিভিন্ন ব্যক্তিকে এখানে ধরে এনে চাঁদা আদায় করে থাকে এবং এখান থেকে তারা ভাড়ায় সন্ত্রাসী কাজ করতে যায়। এই এলাকার পোদ্দার বাজারের পুলিশ ফাঁড়ি সব জেনেও অপরাধ দমনে সক্রিয় হয় না।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি খুন, অপহরণসহ নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন মামলায় বাহিনীর প্রধান ও সদস্যরা গ্রেপ্তার হলেও তাদের কাছ থেকেও অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই।
লক্ষ্মীপুরের কয়েকজন সচেতন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এসব সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় শেল্টারে থাকায় তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা দেখায় না। দলীয় আশ্রয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের হাতে নির্যাতিত হয়েও মুখ খুলতে সাহস পায় না।
লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, বিএনপি কখনো সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রশ্রয় দেয় না। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে বিগত ১৭ বছরে বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। শত শত নেতা-কর্মী আহত ও পঙ্গু হয়েছেন। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্রগুলো উদ্ধারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নূরনবী ফারুক বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয় না। তাদের দলে কোনো সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী ও খারাপ লোক নেই। তিনি লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবি জানান।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আখতার হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনীর ব্যাপারে যৌথ বাহিনী নির্মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সংশ্লিষ্ট থানার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারের দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ থানার লুণ্ঠিত অস্ত্রের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।