নওগাঁর রাণীনগরে চলতি আমন মৌসুমে খাদ্যগুদামে চাল সরবারহে সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি অর্ধেকের বেশি মিলার। ফলে এবছর আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের গাফিতালি ও তদারকির অভাবে উপজেলার ৬৯ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ৩৩ জন মিলার খাদ্যগুদামে চাল দিবেন বলে চুক্তি করেছেন। আর সরকারের সাথে চুক্তিতে আসেনি ৩৬ জন মিলার।
উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে ৪৭ টাকা কেজি দরে মিলারদের নিকট থেকে ১২৬৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যে উপজেলার ৬৯ জন মিলারদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৩ জন মিলার ৮১২ মেট্রিক টন চাল খাদ্যগুদামে সরবরাহ করার চুক্তি হয়। গত ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে এখনো এক ছটাকও চাল সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যবিভাগ। রাণীনগর উপজেলায় ১০০টির বেশি মিল ছিল। এসব মিলের মধ্যে বর্তমানে ৬৯টি মিল রয়েছে।
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোছা. তারানা আফরীন বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আমরা চাল দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত খাদ্যগুদামে কেউ চাল দেননি। আমরা সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোসাদ্দেক খাঁন বাবলু বলেন, বাজারে ধানের দাম বেশি। এতে করে চাল উৎপাদনে সরকারি দরের চেয়েও বেশি দর পড়ছে। তাই লোকসানের কথা চিন্তা করে অনেকেই চুক্তিতে আসেনি। আর চুক্তিবদ্ধ মিলারদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাদ্যগুদামে চাল দিতে তাগিদ দিয়েছি। এ মৌসুমে অর্ধেকের বেশি মিলার চুক্তিতে আসেনি। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের চুক্তিতে নিয়ে আসার। কিন্তু তারা চুক্তি করেননি। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।