Homeজাতীয়রাণীনগর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

রাণীনগর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আজ মঙ্গলবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন রাণীনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। আজকের এই দিনে রাণীনগর উপজেলায় প্রায় ৩৭ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে হানাদার মুক্ত হয়।

স্বাধীনতা সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মতো রাণীনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর রাণীনগর উপজেলাবাসী আজকের এদিনে শত্রু মুক্ত করে বিজয় উল্লাস আর জয়ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলেছিল রাণীনগর উপজেলার আকাশ-বাতাস।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল রাণীনগরে পাক বাহিনীরা অনুপ্রবেশ করে। এ সময় তারা নিরাপদ স্থান হিসাবে সদরে আহম্মদ আলীর বাসা, থানা ভবন ও পাইলট স্কুল সহ কয়েক জায়গায় ক্যাম্প স্থাপন করে। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু রাজাকার, আলবদর ও তাদের দোসরদেরকে নিয়ে আতাইকুলা পালপাড়া, হরিপুর, স্থল-বড়বরিয়া গ্রামে গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটে মেতে উঠে। তারা আহম্মদ আলীর বাসায় বন্দী শিবির ও নির্যাতন কেন্দ্র বানিয়ে বহু নর-নারীকে পাশবিক নির্যাতন চালায়। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় রাণীনগর পাক হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরে থাকা হানাদার ক্যাম্প চারিদিকে ঘেরাও করে। মুক্তিযোদ্ধা ও পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে ৩৭ ঘন্টাব্যাপী তুমুল গোলা-গুলির শব্দে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। ১০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাক-হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা পালাতে শুরু করে। দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ন হয়ে শেষের দিকে উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে ৪০ জন রাজাকার-আলবদর অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পন করে এবং রাণীনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।


আরও পড়ুন:ঝিনাইদহে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষকের মৃত্যু, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর লুটপাট


যুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুর রহমান শ্যাম বলেন, এই সম্মুখ যুদ্ধে স্থানীয় অনেক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। এছাড়া এই যুদ্ধে বিভিন্ন দিক থেকে এসে আরও কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রুপ আমাদের সাথে যুদ্ধে অংশ নেয়।যুদ্ধে রাণীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।

সর্বশেষ খবর