জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইটভাটাগুলোতে মাটির চাহিদা পূরণ করতে কৃষি জমি ব্যবহারের প্রবণতা উদ্বেগজনক। আবাদি জমি থেকে মাটি সংগ্রহের ফলে উর্বর জমির শ্রেণি ধ্বংস হচ্ছে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ছে কৃষি উৎপাদন ও পরিবেশে।
এভাবে আবাদি জমি থেকে মাটি সরানোর ফলে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি করছে। জমির ক্ষয়, জলাধার ভরাট এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। মাটি সংগ্রহের ফলে ভূমি দুভাগ্য, বন্যা, এবং পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি বাড়ছে।
এ সমস্যার সমাধানে অভিজ্ঞ জনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ইটভাটাগুলোর জন্য কৃষি জমির পরিবর্তে নদীর পলি বা অন্যান্য মাটির উৎস ব্যবহারের ব্যবস্থা করা। জমি সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে কার্যকর করা এবং অবৈধ মাটি সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। স্থানীয় জনগণ এবং ইটভাটা মালিকদের মধ্যে পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। ইট তৈরির জন্য পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার উৎসাহিত করা। এভাবে কাজ করলে আবাদি জমি রক্ষা এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ইটভাটা গুলোর এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে অতি শীঘ্রই কৃষি তে অত্র অঞ্চলের লক্ষ্য পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানান কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
শীঘ্রইনের প্রতিকারে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবী জানান এলাকার সচেতন মহল।