মিকাইল হোসাইন, পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শহীদ মাহবুব হাসান নিলয় আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গণিত বিভাগকে হারিয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় পাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে জুলাই বিপ্লবে শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের নামে আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ এবং গণিত বিভাগ পরস্পরের মুখোমুখি হয়। প্রথমার্ধের খেলায় শাহজাহান বাদশাহর গোলে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ এগিয়ে যান। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় গোল শূন্য থাকায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ১-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল। এ সময় তিনি প্রতি খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া খেলোয়াড়দের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি অনেক আনন্দিত যে কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই পুরা টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে যদি কোন বিশৃঙ্খলা হতো তাহলে সারাদেশে আমাদের ক্যাম্পাসের নামে বদনাম হতো। এ জন্য আমি খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাজের মধ্যে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন ছিল একটি। আমাদের শিক্ষার্থীরা এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে এটাই আমাদের বড় আনন্দের। খেলা নিয়ে শিক্ষার্থীরা যে ধৈর্যের পরিচিত দিয়েছেন সেজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের পিতা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘নিলয় সব সময় খেলাধুলা নিয়ে পড়ে থাকতো। আমি জিজ্ঞেস করলে বলতো, বাবা আমি রাতে পড়ি দিনে খেলাধুলা নিয়ে থাকি। জুলাইয়ে যখন আন্দোলন শুরু হয় তখন নিলয়কে ঘরে রাখা যায়নি। সে এদেশের জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আজকে বড় কষ্টের বিষয় এত দিন হয়ে যাওয়ার পরেও নিলয়ের খুনিদের কেউ ধরা পড়েনি, তারা আজও খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি সবাইকে বলবো যদি নিলয় হত্যার খুনিদের বিচার না হয় তাহলে নিলয়ের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে, শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম মিরু এবং সঞ্চালনা করেন ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতিন ইশরাক।
টুর্নামেন্টে প্লেয়ার অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত হন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শাহজাহান বাদশাহ, গোল্ডেন বুট পান একই বিভাগের মেহেদী হাসান রানা এবং গোল্ডেন বল পান একই বিভাগের আবু আয়োন খান।