পেঁয়াজ ও আলুর বাজার স্থিতিশীল করতে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে আমদানি এবং বাজার মনিটরিংয়ের জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ ও আলুর স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল করা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভায় তারা এই তাগিদ দেন।
এ ছাড়া আলুর শুল্ক মেয়াদ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে আরো দুই মাসের জন্য বাড়ানোর সুশারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
বাণিজ্যসচিব মোহা. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আলুর বাজারে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে। যদিও দাম বেশি হলেও নতুন আলু ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে বাজারে আসবে। এই সময় সংকট মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়া পেঁয়াজের ও আলু সঠিক তথ্য না থাকায় বাজার স্থিতিশীল করা যাচ্ছে। এ জন্য কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের হিমাগার করার জন্য পাইলট প্রকল্প নিতে পারে। যেখানে কম সুদে ঋণ, জমি দিতে পারে উদ্যোক্তাদের।
এদিকে ট্যারিফ কমিশনের ওই সভায় একটি পর্যবেক্ষণ ও দিয়েছে। এতা বলা হয়েছে, পেঁয়াজ ও আলুর অন্যতম উৎস ভারত। ভারতের বাজারের পণ্য দুটির দাম বাড়ায় স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৮ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গত ৫ মাসে (১ জুলাই – ৩০ নভেম্বর) আমদানি করা হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৬৩ টন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর চীন ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭০ টন। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৫২ টন।